প্রয়াত পাকিস্তানি অভিনেত্রী ও মডেল হুমায়রা আসগর আলি। মঙ্গলবার করাচির ডিফেন্স এলাকায় নিজের অ্যাপার্টমেন্টে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর প্রায় তিন সপ্তাহ পর তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, হুমায়রা আসগর রিয়েলিটি শো 'তামাশা ঘর' এবং ২০১৫ সালের ছবি 'জালিবি'তে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। গত সাত বছর ধরে করাচিতে নিজের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন হুমায়রা। প্রতিবেশীরা তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হওয়ার অভিযোগ করার পরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বাসিন্দারা স্থানীয় পুলিশকে জানায় যে তাঁরা বেশ কয়েকদিন ধরে ফ্ল্যাটের আশেপাশে অভিনেত্রীর কোনও গতিবিধি দেখেনি।
ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) সৈয়দ আসাদ রাজা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পুলিশের কাছে ফোন আসে। বিকেল তিনটে নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেশ কয়েকবার দরজায় কড়া নাড়ার পর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন। ভিতরে গিয়ে পুলিশ মেঝেতে হুমাইরার দেহ পড়ে থাকতে দেখে।
ডিআইজি রাজা বলেন, 'মনে হচ্ছে মৃতদেহটি বেশ কয়েকদিনের পুরনো। প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ফরেনসিক দলকে ফ্ল্যাটে পাঠানো হয়েছে। এরপর অভিনেত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জিন্নাহ পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের ধারণা, দেহ উদ্ধারের অন্তত ১৫ থেকে ২০ দিন আগে হুমায়রার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে মেডিক্যাল রিপোর্ট আসার পরই তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট হবে।
প্রসঙ্গত হুমায়রা আসগরের বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে বলে জানা গিয়েছে। অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। হুমাইরার মৃত্যুতে প্রতিবেশী এবং অনুরাগীরা হতবাক এবং অভিনেত্রীর জন্য অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন। হুমায়রা আসগর তাঁর অভিনয় দিয়ে পাকিস্তানি ইন্ডাস্ট্রিতে একটি বিশেষ পরিচিতি তৈরি করেছিলেন এবং তাঁর আকস্মিক মৃত্যু বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।