আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। আগামী সপ্তাহেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন ‘গুনগুন’ ও ‘নিখিল’। না এবার লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন বলে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে না, বরং বৈদিক মন্ত্রধ্বনি উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে হিন্দু রীতিনীতি মনে সাত জন্মের জন্য দাম্পত্যের বন্ধনে বাঁধা পড়ছেন টেলিভিশনের পর্দার এই জনপ্রিয় জুটি। নীল ভট্টাচার্য ও তৃণা সাহার বিয়ে নিয়ে এখন সাজোসাজো রব টেলিউডে। কারণ বিয়ের বাকি আর মাত্র ৭ দিন!
বিয়ের আগের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দুজনেই। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে শপিং থেকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ার পর্ব জারি রয়েছে সামনতালে। এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল নীল-তৃণার রিশেপশনের কার্ড। বিয়ের পর্বটা ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ সারলেও গ্র্যান্ড রিশেপশনের আয়োজন করা হয়েছে ভালোবাসা দিবসে। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন শহরের এক নামী ক্লাবে বসছে জুটির রিসেপশন পর্ব। নীল-তৃণার রিসেপশনের আমন্ত্রণপত্র বেশ নজরকাড়া। কারণ আমন্ত্রণপত্রের মধ্যে নবদম্পতির সাজে নীল-তৃণার ক্যারিকেচার চোখ টানছে সকলের।

বিয়েতে একদম সাবেকি বাঙালি বধূর সাজেই সাজবেন তৃণা। লাল বেনারসিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি। সাবেকি বাঙালি সাজে বরের গলায় মালা দিতে চান তৃণা। বিশেষ দিনে নীলকেও কম্বিনেশন করে ধুতি পাঞ্জাবিতে দেখা যাবে। ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে জুটির সংগীতের আসর ও এনগেজমেন্ট পর্ব।

দিন কয়েক আগেই নীল-তৃণাকে আইবুড়ো ভাত খাইয়েছেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। ‘ম্যাজিক’ জুটির নতুন ফ্ল্যাটে পাত পেড়ে আইবুড়ো খেলেন হবু বর-কনে।
নীল-তৃণার সম্পর্কের বয়স ১০ বছর। প্রথমবার এমবিএ ক্লাসের আলাপ দুজনের। নীলের জন্য বলা যায় লাভ অ্যাট ফাস্ট সাইট, অন্তত প্রথম দিনই তৃণাকে মনে ধরেছিল তাঁর। যদিও নীলকে নাকি ক্লাসে নোটিশই করেননি তৃণা। যদিও হবু স্ত্রীর মনে ঠিক জায়গা করে নিয়েছিলেন নীল। অবশেষে কাঙ্খিত পরিণতি পাচ্ছে এই প্রেমের গল্প।