আজ ২৪ ডিসেম্বর, কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী মহম্মদ রফির ১০০ বছরের জন্মবার্ষিকী। আজকের এই বিশেষ কিংবদন্তি গায়কের কিছু গান শুনতে ইচ্ছে করছে? তাহলে তাঁর জনপ্রিয় সব গানগুলোর মধ্যে থেকে আপনাদের জন্য এই ৮ টি গান রইল। শুনুন আর আজ সারাদিন গুনগুন করতে থাকুন।
১) জো ওয়াদা কিয়া ও নিভানা পরেগা: 'তাজমহল' ছবি হিন্দি ছবির এক অন্যতম মাইলফলক তা বলাই যায়। আর সেই ছবির গল্পের পাশাপাশি ছবির সব দারুণ দারুণ গান আজও মানুষের কানে লেগে রয়েছে। বিশেষ করে 'জো ওয়াদা কিয়া ও নিভানা পরেগা'। এই গানের সুরকার ছিলেন রোশন। আর গানটি গেয়েছিলেন মহম্মদ রফি, সঙ্গে ছিলেন লতা মঙ্গেশকারও। পর্দায় ভারতীয় ছবির আর এক কিংবদন্তি প্রদীপ কুমারের উপর এই গান চিত্রিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, চোখে অদ্ভুত এক ভয়ঙ্কর দৃষ্টি! কেন এমন দশা অনির্বাণের?
২) কৌন হ্যায় জো সপনো মে আয়া: ‘ঝুক গয়া আসমান’ ছবির গান ‘কৌন হ্যায় জো সপনো মে আয়া’। কিছুটা ভানু বন্দোপাধ্যায়ের ‘যমালয়ে জীবন্ত মানুষ’ -এর ঘরানার এই ছবি। বক্স অফিসে সেই ভাবে ব্যবসা করতে না পারলেও ছবির এই গান বড়ই মন ছুঁয়ে যাওয়া। রফির এই গান কালের সীমানা পেরিয়েও ভীষণ ভাবে জনপ্রিয়। এই গানের সুরকার ছিলেন শঙ্কর জয়কিষান।
৩) তারিফ কারু কেয়া উসকি: এই গানের কথা না বললে মহম্মদ রফির গানের প্লে লিস্ট অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কাশ্মীরের ডাল লেকের উপর ‘কাশ্মীর কি কলি’ সুন্দরী শর্মিলা ঠাকুর আর শিকারায় শাম্মি কাপুরের নাচ ও জলে পড়ার দৃশ্য আর মহম্মদ রফির কণ্ঠে ‘তারিফ কারু কেয়া উসকি’ এখনও দর্শকদের মনের মণিকোঠায় তোলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: 'শো না পাওয়া নিয়ে আমি কিছু লিখিনি, কিন্তু…', প্রতীম ডি গুপ্তর কথায় খোঁচা দেবকে?
৪) দিওয়ানা হুয়া বাদল: তাছাড়াও 'কাশ্মীর কি কলি'-র আর এক চিরকালীন গান হল ‘দিওয়ানা হুয়া বাদল’। ও পি নায়ারের সুর আর মহম্মদ রফির কণ্ঠ এই গানকে প্রাণ দিয়েছিল। সঙ্গে বাড়তি পাওনা ছিল শাম্মি কাপুর ও ফুলের মতো সুন্দরী শর্মিলা ঠাকুরের রোম্যান্স।
৫) পুকারতা চলা হু ম্যায়: 'মেরে সনম' ছবির এই গান শোননি এমন রফি ভক্ত পাওয়া ভার। অসাধারণ সুর, তাঁর সঙ্গে মহম্মদ রফির কণ্ঠস্বরের অপূর্ব এক মাদকতা। আর সঙ্গে উপরি পাওনা সেই সময়ের অসাধারণ পিকচারাইজেশন আর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাবা বিশ্বজিত চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বিপরীতে থাকা আশা পারেখ। এই গানেরও সুরকার ছিলেন ও পি নাইয়ার।
৬) লিখে জো খত তুঝে: 'কন্যাদান' ছবির ‘লিখে জো খত তুঝে’-এর গীতিকার ছিলেন নীরজ, সুর দিয়েছিলেন কিংবদন্তি সুরকার শঙ্কর জয়কিষান। পর্দায় শশী কাপুর এবং আশা পারেখের ম্যাজিকে অন্য মাত্রা পেয়েছিল মহম্মদ রফির এই গান।
৭) খোয়া খোয়া চাঁদ, খিলা আসমান: ছবির নাম 'কালা বাজার'। এত বছর পরেও ‘খোয়া খোয়া চাঁদ, খিলা আসমান’ গানের জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। শচিন দেব বর্মনের সুরে বিজয় আনন্দের কথায় মহম্মদ রফির এই গান এখন প্রায় রোজই বাজে রফি ভক্তদের প্লে লিস্টে। পর্দায় দেব আনন্দ এবং ওয়াহিদা রহমানের উপর এই গান চিত্রিত হয়েছিল।