তার বিয়ে দিতেই হবে। মানতেই হবে দাবি। না হলে অনশন ভাঙবে না নীপা। এ কথা সে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় হল্লা পার্টিকে।
পাত্রও পছন্দ করে ফেলেছে মোদক বাড়ির কনিষ্ঠ কন্যা। রুডি অর্থাৎ রুদ্রের সঙ্গে সাতপাক ঘোরার স্বপ্ন তার চোখে। সে কথা কোনও দ্বিধা ছাড়াই জানিয়ে দেয় মিঠাইদের। অগত্যাকে নীপার স্বপ্নের পুরুষকে জরুরি তলব। তড়িঘড়ি 'মনোহরা'য় চলে আসে সে! প্রেমিকার মান ভাঙাতে আনে চকোলেট। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। নীপার ঘোষণা, তার মায়ের সঙ্গে বিয়ের কথা না বললে চলতে থাকবে অনশন।
আর কোনও পথ নেই। নীপার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে যায় হল্লা পার্টি। মেয়ের বিয়ের কথা শুনেই হতবাক সুলতা। রেগে গিয়ে জানিয়ে দেয়, এত কম বয়সে সে মেয়ের বিয়ে দেবে না। আগুনে ঘৃতাহুতি করে তোর্সা! হার মানেনি হল্লা পার্টিও। নানা যুক্তি দেখিয়ে রাজি করে সুলতাকে। কিন্তু নীপার পছন্দের কথা তখনও তার অজানা।
একান্নবর্তী পরিবারের ন'টা-পাঁচটার চাকরি করা জামাই চায় সুলতা। যে তার মেয়েকে সময় দেবে, তার খেয়াল রাখবে। পুলিশের জামাইয়ে তার ঘোর আপত্তি! কোনও ভাবেই কোনও পুলিশের সঙ্গে বিয়ে দেবে না মেয়েকে। নৈব নৈব চ!
তবে কি পাত্র হিসেবে রুদ্রের কথা তোলার আগেই শেষ হয়ে যাবে সব কিছু? ভেঙে যাবে নীপার স্বপ্ন? এখন সেটাই দেখার।