‘সৌরভ অত্যন্ত খারাপ একটি ছেলে। অত্যন্ত পাজি!’ হ্যাঁ, এমন কথাই বলতে শোনা গেল অভিনেত্রী মানসী সিনহাকে। মানে রাঙা বউ ধারাবাহিকের বেলা। সিরিয়াল শেষ হওয়ার আপাতত হাতে কাজ নেই মানসীর, তাঁর পরিচালিত ছবি মুক্তির আগেই বিতর্কে! এর মাঝেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বেফাঁস অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন-পিরিতির ফুল ফুটে… পায়ে হাওয়াই চটি, পাশে ডোনা-রচনা, ঝুমুরের তালে জমিয়ে নাচ মমতার
আট থেকে আশি, বাঙালির প্রিয় পাত্র সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দাদাকে চোখে হারান সকলে। তাহলে হঠাৎ মানসীর মুখে এমন কথা কেন? কারণও খোলসা করেছেন তিনি নিজেই। যা শুনলে চমকে উঠবেন। সৌরভের সঙ্গে মানসীর সমীরকরণ দিদি আর ভাইয়ের। সৌরভ অন্য সবার 'দাদা' কিন্তু মানসীর ‘ভাই’। বয়সে ২ বছরের ছোট সৌরভকে তাই তুই সম্বোধন করেন তিনি। দীর্ঘদিনের আলাপ। একবার দাদাগিরির মঞ্চে মানসীর বুটিক নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করেছিলেন সৌরভ। সেই নিয়েই যত বিপত্তি!
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌরভের প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেন, ‘সৌরভ অত্যন্ত খারাপ ছেলে…পাজি একটা। সে আমাকে দাদাগিরিতে বলল কি আমি আমার বুটিকর শাড়ি নিজে পরে বিক্রি করি। এমন বদ। তারপর কোভিড এল, বুটিক উঠে এল। পরের বার ফের দাদাগিরিতে গেলাম, বলে তোমার বুটিক কী হল? বললাম, তোর জন্য আমার বুটিক উঠে গেছে। তুই বসেছিল সারাক্ষণ পরা শাড়ি আমি বেচি, লোকে আর কিনতে আসবে! বলে, সে কী কথা! এ কী বদনাম দিচ্ছো তুমি আমায়।' এরপর হেসে ফেলেন অভিনেত্রী। বলেন, ‘খুব ভালো ছেলে। যেখানেই দেখা হোক দিদি বলে এসে জড়িয়ে ধরে। খুব আন্তরিক’।
মহারাজের আন্তরিকতায় মুগ্ধ অভিনেত্রী। যোগ করেন, ইন্ডাস্ট্রিতে বোধহয় একমাত্র তিনিই সৌরভকে দাদা নয়, তুই বলে সম্বোধন করেন। প্রথম আলাপেই মানসী সেই বোঝাপড়াটা সেরে নিয়েছিলেন। জানিয়েছেন, বয়সে ছোট সৌরভকে কোনওভাবেই দাদা বলতে পারবেন না। সায় দিয়ে মহারাজ বলছিলেন, ‘একদম আজ থেকে তুমি আমার দিদি, আমি তোমার ভাই’।
অভিনেত্রী আফসোসের সুরে জানিয়েছেন, আপতত হাতে কাজ নেই তাঁর। রাঙা বউ শেষ হওয়ার পর কোনও অফাস আসেনি। হয়ত ইন্ডাস্ট্রির এখন তাঁকে প্রয়োজন নেই। এমনটা চলতে থাকলে আগামী কয়েকমাসে অর্থনৈতিক ভারসাম্যের অভাব ঘটবে জীবনে, আশঙ্কা তাঁর। তবে থেমে থাকতে শেখেননি মানসী। আগামিতে কবিতা শেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।