কেরালা স্টোরি-খ্যাত আদা শর্মা সম্প্রতি সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছেন যেখানে ২০২০ সালে মৃত্যুর আগে থাকতেন সুশান্ত সিং রাজপুত। একটি পাপারাজ্জো অ্যাকাউন্ট থেকে খবরটি শেয়ার করা হয় সোশ্যালে। ‘কেদারনাথ’ অভিনেতা মন্ট ব্ল্যাঙ্ক অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটটিতে ভাড়ায় থাকতেন, তবে তা কিনে নেন আদা। টেলি চক্করের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে তাঁরা অভিনেত্রীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথাও বলেছেন এই ব্যাপারে। এবং তাঁদের পক্ষ থেকে এই খবরে শিলমোহর দেওয়া হয়েছে। যদিও এখানে কবে থেকে বসবাস শুরু করবেন তিনি তা জানা যায়নি। এর আগে খবর হয়েছিল, সুশান্ত মারা যাওয়ার পর থেকে তাঁর ফ্ল্যাটটি ফাঁকাই পড়ে আছে। ব্রোকাররা নতুন ভাড়াটিয়া খুঁজেছেন। সেই ফ্ল্যাটের মালিক আর বলিউডের কাউকে ভাড়ও দিতে চাইছেন না বলে কিছু প্রতিবেদন দাবি করেছিল। খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই সেই ফ্ল্যাট ভাড়ায় নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করে। তবে বর্তমানে মালিক ভাড়ার বদলে সেই ফ্ল্যাটটি বেঁচে দিয়েছেন আদা শর্মাকে। ২০২১ সালে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সমুদ্র-মুখী ফ্ল্যাটটি সুশান্ত ১৪ লাখ টাকা ভাড়া দিতেন। এখান থেকেই ১৪ জুন ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল তাঁর দেহ। সুশান্তের মারা যাওয়ার খবর আসে এক রবিবারের সকালে। সেই সময় যা বিশ্বাস করতে পারেননি অনেকেই। প্রাণবন্ত মানুষটা যে এভাবে অকালে চলে যেতে পারে তা অবিশ্বাস্য ঠেকেছিল প্রায় সকলের কাছে। অভিনেতা মারা যাওয়ার পর বারবার উঠতে থাকে প্রতিবাদ। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। সিবিআই-এর সঙ্গে বর্তমানে এই মামলা খতিয়ে দেখছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে কিছুমাস জেল খেটেছেন সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই শৌভিক। তবে এখনও পর্যন্ত তদন্ত চূড়ান্ত করতে পারেনি সিবিআই।গত বছর, কুপার হাসপাতালের কর্মী রূপকুমার শাহ হঠাৎই দাবি করেন তিনি সুশান্তের ময়না তদন্তের সময় উপস্থিত ছিলেন। এবং মরদেহে এমন কিছু দাগ দেখেছেন যাতে তিনি নিশ্চিত ছিলেন এটা খুন, আত্মহত্যা নয়। নিজের সিনিয়র অফিসারদের তা জানিয়েওছিলেন তা। তবে তাঁকে বলা হয়েছিল চুপচাপ ময়নাতদন্ত করতে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেহ পুলিশের হাতে তুলে দিতে। এমনকী, রূপকুমারের দাবি ছিল গভীর রাতে করা হয়েছিল ময়নাতদন্ত। ভিডিয়ো করার নিয়ম থাকলেও, শুধু ফোটো তুলেই কাঁটাছড়া করা হয় দেহ কোনওরকমে। এবং তা তুলে দেওয়া হয় পুলিশকে।