একে অপরের সঙ্গে দীর্ঘ ঝগড়া, সেই ঝামেলা গিয়ে পৌঁছোয় আদালতে, মামলা-মোকদ্দমা সবই হয়। এসব চলল টানা ৫ বছর। অবশেষে স্বস্তি, নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে, ভাব করে নিলেন জাভেদ আখতার ও কঙ্গনা রানাওয়াত। সমঝোতায় পৌঁছেছেন তাঁরা। সেই খুশির খবর সকলের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে শেয়ারও করেছেন বলিপাড়ার এই দুই ব্যক্তিত্ব।
জাভেদ-কঙ্গনা
সাংসদ, অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে জাভেদ আখতারের সঙ্গে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হাসি মুখে একটা ছবি পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, ‘আজ জাভেদজি এবং আমি মধ্যস্থতার মাধ্যমে আমাদের আইনি ঝামেলা (মানহানির মামলা) ও জটিলতার সমাধান করেছি। এই মধ্যস্থতায় জাভেদজি খুবই দয়ালু এবং সদয় হয়েছেন। শুধু তাই নয়, উনি আমার পরিচালনায় পরবর্তী ছবির জন্য গান লিখতেও রাজি হয়েছেন।’
আরও পড়ুন-বিয়ের পর প্রথম শিবরাত্রি, ভক্তি ভরে পুজো কৌশাম্বির, তবে আদৃতের দেখা মিলল না…

কী নিয়ে ঝগড়া?
২০২০ সালে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর একটি নিউজ চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেন কঙ্গনা। এর পরই দুজনের মধ্যে আইনি লড়াই শুরু হয়। বিবৃতিতে কঙ্গনা দাবি করেছিলেন যে জাভেদ আখতার তাঁকে সহ-অভিনেতা হৃতিক রোশনের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। যে হৃত্বিক কিনা ২০১৬ সালে তাঁদের সম্পর্কের গুঞ্জনের বিষয়ে জনসাধারণের সামনে মুখ খোলার জন্য কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
কঙ্গনা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'একবার জাভেদ আখতার আমাকে ওঁর বাড়িতে ডেকে পাঠান। বলেন, রাকেশ রোশন (হৃতিক রোশনের বাবা) ও তাঁর পরিবার অনেক বড় মানুষ। আপনি যদি তাঁদের কাছে ক্ষমা না চান তবে আপনার কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না। ওঁরা আপনাকে জেলে ঢোকাবে। শেষ পর্যন্ত, একমাত্র পথ হবে ধ্বংস। তখন.. আপনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন। এটাই ছিল ওঁর (জাভেদ আখতার) এর কথা। উনি চিৎকার করে আমাকে কথাগুলি বলছিলেন। আমি ওঁর বাড়িতে দাঁড়িয়েই কাঁপছিলাম।
এই কথাগুলিই সাক্ষাৎকারে সেই নিউজ চ্যানেলকে বলেছিলেন কঙ্গনা। আর এরপরই জাভেদ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। যে মামলা বছরের পর বছর ধরে চলছিল। জাভেদ আদালতকে বলেন, ‘সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, এতে কোনও সত্যিই নেই।’
জাভেদ আখতার আদালতে বলেছিলেন, ‘আমি ওকে (কঙ্গনাকে) ফোনেই জানিয়েছিলাম যে আমি কেন ওকে ডাকছি। ২০১৬ সালের আবহাওয়া, রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে কথা বলার জন্য তো আর ওকে ফোন করিনি।’ জাভেদ বলেছিলেন, তিনি যদিও ব্যক্তিগতভাবে কঙ্গনাকে চিনতেন না, সামনে থেকে তখনও তাঁদের আলাপ হয়নি। তবে অভিনেত্রী হিসাবে কঙ্গনার কাজ সবসময় তাঁর ভালো লাগত। যখন তিনি বুঝেছিলেন যে কঙ্গনা তাঁর কোনও কথাই শুনবেন না তখন তিনি প্রসঙ্গ পরিবর্তনও করেছিলেন।