কবির খানের ‘বজরঙ্গী ভাইজান’ ছবির ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই উপলক্ষে ছবিটির সঙ্গে জড়িত অনেক ঘটনা সামনে আসছে। একটি সাক্ষাৎকারে কবীর খান ছবি তৈরির সময়কার নানা কথা ভাগ করে নেন। এমনকী কীভাবে একটি দৃশ্যে তিনি মুসলিম মৌলভীদের দিয়ে ‘জয় শ্রীরাাম’ বলাচ্ছেন।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) থেকে যদি এই দৃশ্যটি বাদ দেওয়ার জন্য বলেছিল। তাদের আশঙ্কা ছিল, এই দৃশ্য মুসলিম দর্শকদের ধর্মীয় আবেগে আঘাত করতে পারে। কিন্তু কবীর খান সেই দৃশ্যটি রাখার জন্য লড়াই করেছিলেন এবং থিয়েটারে গিয়ে দেখেছিলেন মুসলিম দর্শকরাও সেই দৃশ্যে আনন্দের সঙ্গে চিৎকার করছিলেন।
নাসিরুদ্দিন শাহ ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর অফার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মৌলবির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ওম পুরী। এই চরিত্রটি প্রথমে নাসিরুদ্দিন শাহকে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি করেননি। কবির খান স্ক্রিন-কে জানিয়েছেন, ছবিতে একটি দৃশ্য ছিল যেখানে পাকিস্তানের মৌলবি (ওম পুরী) সলমন খান, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং হর্ষালিকে আশ্রয় দেন। পুলিশ তাদের খুঁজছে। মৌলবি (ওম পুরী) তাঁদের বিদায় জানানোর সময় ‘জয় শ্রীরাাম’ বলেন। কবীর খান জানিয়েছেন, সেন্সর বোর্ড এই দৃশ্য নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, দৃশ্যটি বাদ দিতে হবে, নয়তো মুসলিম দর্শকরা ক্ষুব্ধ হবেন। কিন্তু তা হয়নি। বরং হলে এই দৃশ্য দেখে, আনন্দের সঙ্গে চিৎকার করেছিলেন মুসলিম দর্শকরাও।
কবীর খান বলেন, ‘আমি এই দৃশ্যের জন্য লড়াই করেছিলাম। আমার মনে আছে, আমি গেইটি গ্যালেক্সিতে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম। থিয়েটার বান্দ্রার মুসলিম কর্মীদের (মজদুর ইত্যাদি) ভিড়ে ভরে ছিল। যখন এই লাইনটি এল, তখন সবাই আনন্দের সঙ্গে চিৎকার করে উঠল। যারা এই দৃশ্য নিয়ে সন্দেহ করেছিল, তাদের দেখা উচিত ছিল যে তারা সেই মুহূর্তটি কত গভীরভাবে অনুভব করেছিল।’
‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সম্পর্কে
‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এ সালমান খান পবন নামে একজন হিন্দুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ভারতে খুঁজে পাওয়া, একজন পাকিস্তানি মেয়েকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য, পাকিস্তান পর্যন্ত চলে যান। ছবিতে করিনা কাপুরও অভিনয় করেছেন। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এই ছবিতে পাকিস্তানি সাংবাদিক চাঁদ নওয়াবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি সলমনকে সেই বাচ্চা মেয়েটিকে ফিরিয়ে দেওয়ার কাজে সাহায্য করেন।