জিতু কমলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছিলেন দিতিপ্রিয়া রায়। তাতে মূলত অভিযোগ ছিল মাত্রাতিরিক্ত ইয়ার্কি, যা দিতিপ্রিয়ার মতে তাঁর অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আলটপকা মন্তব্যের মধ্যে ‘তুমি কি প্রেগন্যান্ট’, জিতুর কাছ থেকে আসা এই প্রশ্নটি নিয়ে মূলত উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। যা জিতু বলেছিলেন দিতিপ্রিয়া ডাক্তারের কাছে যাবেন জানতে পেরে!
এরপর থেকেই অভিযোগে বিদ্ধ হতে থাকেন জিতু। একাধিক নেটিজেনের আক্রমণেরও শিকার হন অভিনেতা। যদিও মিডিয়ার তরফে প্রশ্ন করা হলে, জিতু জানিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে হওয়া সব চ্যাটের স্ক্রিনশট তাঁর কাছে রয়েছে। আর প্রয়োজনে নিজেকে ‘নিরাপরাধ’ প্রমাণে সেগুলি তিনি দেবেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
মঙ্গলবার বিকেলেই সামনে এল হোয়াটসঅ্যাপে হওয়া একগুচ্ছ স্ক্রিনশট। সেখানে দেখা গেল কথা শুরু করেন দিতিপ্রিয়াই। তিনিই ‘হাই আমি দিতিপ্রিয়া’ লিখে পাঠান। এরপর জিতুর মুখে দিতিপ্রিয়ার প্রশংসা। তবে হ্যাঁ, জিতুই তুলেছিলেন AI দ্বারা তৈরি সেই ‘চুমু’র কথা। তবে দেখা গেল স্মাইলি ইমোটিকন দেন দিতিপ্রিয়া জবাবে। এমনকী, জিতু যখন বলেন, ‘তোমার প্রেমিককে দেখাও, এই রাতেই ব্রেকআপ হয়ে যাবে’, তাতে জবাবে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমরা একসঙ্গে বসেই দেখছি’।
এরপর সেই প্রেগন্যান্সির উল্লেখের চ্যাটটিও দিয়েছেন জিতু। যদিও দেখা গেল সেই ম্যাসেজের জবাবে দিতিপ্রিয়া জানান যে, মায়ের দাঁতের ডাক্তার দেখাতে যাবেন। সঙ্গে মুখ ব্যাঁকানোর একটি ইমোজি। এমনকী, তারপরও দুজন দীর্ঘসময় কথা বলেন। জিতু যখন জানতে চান, দিতিপ্রিয়া রাগ করল কি না, এসব কথা যেন সিরিয়াসলি না নেয়। তাতে দিতিপ্রিয়া জবাবে লেখেন, ‘তোমাকে আমি সিরিয়াসলি নি না কখনো…’
এরপর দিতিপ্রিয়া একসময় জিতুর কাছে জানতে চান যে, কেন তিনি সেটে কথা বলেন না? তাতে জিতু জানান, সেটের রাজনীতি, অবাঞ্ছিত লোকচর্চা এড়াতে চান, বিশেষ করে যাতে দিতিপ্রিয়ার মায়ের খারাপ না লাগে। অবশ্য এই চ্যাটে একাধিকবার জিতুকে লিখতে দেখা গেল, দিতিপ্রিয়ার মা সামনে না থাকলে কথা বলবেন। কারণ তিনি নাকি ‘ভয় পান’! এমনকী, এটাও স্পষ্ট যে ইয়ার্কি জিতুই মেরেছেন বেশিরাগ সময়। বিভিন্ন ফ্যান এডিটেড ভিডিয়ো পাঠিয়েছেন। কখনো আবার দিতিপ্রিয়ার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। এবং উলটোদিক থেকেও কখনো হেসে, কখনো পালটা মস্করা করে, কখনো ধন্যবাদ জানিয়ে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চ্যাট।
ফেসবুকে জিতুর বার্তা:
সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে হওয়া চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে জিতু লেখেন, ‘নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আমি কখনোই সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনরকম মতামত দিই না, কিন্তু এটা তো নিছক ব্যক্তিগত নয়। এটা পেশাগত একটা ছোট্ট থেকে ছোট্টতর সমস্যা। ছোট্ট থেকে ছোট্টতর কেন বললাম! কারণ একটা ছোট্ট মেয়ে,বাচ্চা মেয়ে। যে কাজটা করে ফেলেছে,সে নিজেও হয়তো জানেনা যা করেছে সেটা কতটা গভীর। 'রাখাল যেদিন সত্যি মানুষখেকো বাঘের মুখে পড়বে সেদিন কেউ সেটা বিশ্বাস করবে না।' তবুও ছোট তো একটু স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে মার্জনা করবেন।
আমি সামনাসামনি কথা বলি না। সত্য কথা। আমি স্টুডিওতে গিয়ে নিজের কাজ ছাড়া অন্য কোন বিষয় নিয়ে চর্চা করি না। সত্য কথা। আমি হোয়াটসঅ্যাপে ওর সঙ্গে কথা বলি সত্য কথা। কিন্তু, কী কথা বলি সেটাই নিয়েই তো প্রশ্ন! এই নিন।(নিজের বাবা-মার সম্মানার্থে আমি সবার সামনে আনতে বাধ্য হলাম।)’
জিতু নিজের পোস্টে আরও লেখেন, ‘সর্বশেষে বলি, 'ভিকটিম কার্ড' খেলাটা আমাদের সমাজে প্রথম নয়। অনেক উদাহরণ আছে কিন্তু এই মেয়েটির কোন দোষ নেই, এই মেয়েটি নিরপরাধ।এই মেয়েটিকে পেছন থেকে প্রবঞ্চনা দেওয়া হচ্ছে। যারা দিচ্ছে তারা কিন্তু এই মেয়েটির বিপদের সময় পাশে দাঁড়াবে না। প্লিজ মেয়েটিকে মেয়েটির পথে থাকতে দিন। কাজ করতে দিন। মেয়েটি ভালো। শিক্ষিত মেয়ে। হ্যাঁ, একটু অপরিণত, আর নিজের প্রেমিকের জন্য জীবনটুকু পর্যন্ত দিতে পারে।আর প্রেমিক মহাশয়কে বলছি এনাকে যত্ন করে রাখবেন প্লিজ, হাতছাড়া করবেন না, আপনি রত্ন পেয়েছেন।’