1 মিনিটে পড়ুন Updated: 11 Jan 2024, 11:17 AM ISTSubhasmita Kanji
Imtiaz Ali-Rashid Khan: জব উই মেট ছবির আওগে জব তুম ও সাজনা গানটি গেয়েছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা মনে করলেন ইমতিয়াজ আলি।
আওগে জব তুম গাইতেই চাননি রাশিদ খান!
সালটা ২০০৭। মুক্তি পেল জব উই মেট। ছবির গল্প, করিনা কাপুর শাহিদ কাপুরের অভিনয়ের পাশাপাশি নজর কেড়েছিল এই ছবির গান। মূলত আওগে জব তুম ও সাজনা গানটি। হইচই ফেলে দিয়েছিল এক প্রকার। তারপর মাঝে কেটে গিয়েছে ১৬ বছর। সদ্যই না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন এই গানের গায়ক উস্তাদ রাশিদ খান। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে ইমতিয়াজ আলি জানালেন তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা।
উস্তাদ রাশিদ খান সম্পর্কে ইমতিয়াজ আলি
মাত্র ৫৫ বছর বয়সে চলে গেলেন রাশিদ খান। দীর্ঘদিন তিনি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর শোকপ্রকাশ করে সঙ্গীত পরিচালক ইমতিয়াজ আলি বলেন, 'ওঁর সঙ্গে কাজ করার বহুদিন আগে থেকেই আমি ওঁর ভক্ত। আমার ওঁর সঙ্গে সেদিন প্রথম দেখা হয় যেদিন আমি ওঁর কণ্ঠে মেঘ মল্লার শুনতে গিয়েছিলাম। উনি যখন গাইছিলেন তখন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমেছিল। আর তখন আমি বিশ্বাস করি যে কেউ মল্লার গান গাইলে বৃষ্টি হয়। সেটাই ওঁর ব্যাপারে আমার প্রথম স্মৃতি।'
এরপর আওগে জব তুম গানটিতে একসঙ্গে কাজ করার সময় থেকে তাঁদের আরও ভালো করে পরিচিতি হয়। সেই বিষয়ে ইমতিয়াজ আলি বলেন, 'আমি কাজ করতে গিয়ে বুঝেছিলাম উনি ভীষণ সহজ সরল। উনি আমায় বলেছিলেন আমায় একদমই বড় কোনও গায়ক ভাববে না। মনে করবে আমি নতুন এসেছি এই ইন্ডাস্ট্রিতে যে এর আগে কখনও রেকর্ডিংয়ে গান গাইনি। তাই আমাকে সবটা বলে বলে দিও।' তিনি আরও জানান, 'এমনকি তিনি এই গানটি গাওয়ার জন্য প্রথমেই হ্যাঁ বলেননি। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছিল ওঁকে বোঝানোর জন্য, গাওয়ানোর জন্য। আর এখন এই গানটি অন্যতম জনপ্রিয় গান।'
পরিশেষে রাশিদ খান সম্পর্কে ইমতিয়াজ জানান, ' ওঁর সঙ্গে আমার শেষবার কথা হয়েছিল উনি যখন ওঁর ছেলের কেরিয়ার শুরুর একটি ইভেন্টে যেতে বলেছিলেন। ওখানে আর যাওয়া হয়নি কিন্তু ওটাই আমাদের শেষ কথা ছিল। আমি ওঁর কাছে আওগে জব তুমের জন্য চিরকৃতজ্ঞ থাকব। গানটি ছবিটির জন্য যেন একটা আশীর্বাদ ছিল।'
বহুদিন ধরেই রাশিদ খানের ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল। তাঁর প্রস্ট্রেট ক্যানসার হয়েছিল। সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে শহরের বাইরে নিয়ে গিয়ে তাঁর বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। এরপর থেকেই বছর ৫৫ এর এই শিল্পীর একটার পর একটা সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। হামেশাই তাঁর প্লেটলেট নেমে যেত। এরপর ২১ নভেম্বর তাঁর স্ট্রোক হওয়ায় স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে সেখানেই ৯ জানুয়ারি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।