‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে আমি দুই আসনেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করব’, আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বাংলাদেশের হিরো আলম। তবে নাহ, তেমনটা ঘটল না। ইতিহাস গড়ার মুখোমুখি দাঁড়িয়েও শেষপর্যন্ত হেরেই গেলেন হিরো আলম। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে বাংলাদেশের উপনির্বাচনে লড়ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। সূত্রের খবর, মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন তিনি।
বুধবার রাতে ভোট গণনা শেষে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মহম্মদ সাইফুল ইসলাম উপনির্বাচনের ফলাফল জানিয়েছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪ ভোট। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন (একতারা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশফিকুর রহমান (ট্রাক) ১০ হাজার ৭৯১ এবং কামরুল হাসান সিদ্দিকী (কুড়াল) ১০ হাজার ৪৪২ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে কাহালু উপজেলার ৬৩টি কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন হিরো আলম। ওই ৬৩টি কেন্দ্রের ফলাফলে স্বতন্ত্র হিরো আলম পেয়েছেন ১১ হাজার ৫৬৪ ভোট। আর মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন পান ৯ হাজার ৪০ ভোট।

ভোট দেওয়ার সময় হিরো আলম
এর আগে বুধবার দুপুরে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হিরো আলম বলিছিলেন, ‘সদরের (বগুড়া-৬) কেন্দ্র সব দখল হয়ে গেছে। পুলিস কোনও কাজ করছে না, সব আশা শেষ। আমার কোনও এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’ তবে বগুড়া-৪ আসনে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হচ্ছে জানিয়ে হিরো আলম বলেছিলেন, ‘কাহালু-নন্দীগামের অনেক কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। আমি কাহালু-নন্দীগ্রামের সাংসদ হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত।’তবে না, সাংসদ হওয়ায় ইচ্ছে পূরণ হল না হিরো আলমের।
প্রসঙ্গত, এর আগে মনোনয়ন জমা দিতে এসে বাধার মুখে পড়েছিলেন হিরো আলম। সেসময় তাঁর অভিযোগ ছিল হেরে যাওয়ার ভয়েই তাঁকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি।