২০০৩ সালে এই সিনেমার শ্যুট হয়েছিল। যে ছবিতে মুখ্য চরিত্রে সঞ্জয় দত্ত অভিনয় করলেও, বাস্তবে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লেখা হয়েছিল বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের জন্য। সব ফাইনাল হয়ে গিয়েছিল। চিত্রনাট্য পড়া হয়েছিল, প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল, কিন্তু তারপরে এমন কিছু ঘটে, যেই কারণে শাহরুখ খানের জায়গায় নিয়োগ করা হয় সঞ্জয় দত্তকে।
ছবির নাম? 'মুন্না ভাই এম.বি.বি.এস'। শাহরুখ যখন এই ছবির প্রস্তাব পান, তখন চিত্রনাট্য পড়া মাত্রই রাজি হয়ে যান তিনি। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি পিঠে চোট পান এবং চিকিৎসকরা তাঁকে সম্পূর্ণ বেডরেস্টে থাকার পরামর্শ দেন। তার ওপর সেইসময় এমনিতেও অনেক বড় বড় প্রোজেক্ট ছিল শাহরুখ খানের হাতে। সিনেমাটি ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
এরপর পরিচালক রাজকুমার হিরানি এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন সঞ্জয় দত্তকে। সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মকরন্দ দেশপান্ডে এই নিয়ে কথা বলেছিলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা যখন প্রথমে চিত্রনাট্য পড়ছিলাম, তখন শাহরুখকে ভাবা হয়েছিল মুন্না। কিন্তু যখন তিনি চলে গেলেন, আর সঞ্জয় দত্ত এলেন—তখন পুরো ছবির বুনট বদলে গেল। হয়ে ওঠলেন সত্যিকারের মাটির চরিত্র। শাহরুখের উপস্থিতিতে ছবিটি কিছুটা ঝকঝকে হতে পারত, কিন্তু সঞ্জয় এটিকে দেশি করে তুলেছেন।
‘জাদু কি ঝাপ্পি’-র মাধ্যমে তিনি যে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, তা হয়তো শাহরুখের স্টাইলে অতটা আবেগপ্রবণ হয়ে উঠতে পারত না। ছবিটি ইতিহাস হয়ে ওঠে এবং গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দেয়। 'মুন্না ভাই এমবিবিএস' শুধু সুপারহিটই হয়নি, বলিউডে এক নতুন ঢেউ এনেছিল। সঞ্জয় দত্ত ও আরশাদ ওয়ারসির অসাধারণ জুটি আজও স্মরণীয়।