বলিউড অভিনেতা গোবিন্দা সম্প্রতি ব্য়ক্তিগত জীাবনের কারণে সংবাদে থাকছেন। কিছুদিন আগে গোবিন্দা এবং তাঁর স্ত্রী সুনীতা আহুজার ডিভোর্স নিয়েচলার খবর সকলকে চমকে দিয়েছিল। তারই মাঝে গোবিন্দার জন্য এল একটি দুঃখজনক সংবাদ। বৃহস্পতিবার ৬ই মার্চ, গোবিন্দার এক কাছের মানুষ, দীর্ঘদিনের সঙ্গী মারা গিয়েছেন। শেষযাত্রায় বিধস্থ অবস্থায় দেখতে পাওয়া গেল অভিনেতাকে।
গোবিন্দার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন শশী
বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন গোবিন্দার ব্যক্তিগত সচিব। শশী সিনহা শুধু তাঁর প্রাক্তন সচিব ছিলেন না, তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর সংবাদে গোবিন্দা গভীরভাবে বিধ্বস্ত।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতে, শশী সিনহার মৃত্যু হয়েছে ৬ই মার্চ বিকেল ৪টায়। শশী সিনহা অনেক বছর ধরে গোবিন্দার জন্য কাজ করছিলেন। দুজনের খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। শশী সব সুখ-দুঃখে গোবিন্দার পাশে থাকতেন। যখন অভিনেতার পায়ে নিজের বন্দুক থেকেই গুলি এসে লাগে, অথবা সাম্প্রতিক সময়ে সুনীতার সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে চর্চা, সব সমস্যাতেই গোবিন্দার ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই শশী সিনহাই।
শোকে বিধ্বস্ত গোবিন্দা
গোবিন্দার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে পাপারাজ্জি অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে। এই ভিডিয়োতে গোবিন্দাকে শশী সিনহার মৃত্যুতে অত্যন্ত বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। বারবার চোখের জল মুছতে দেখা গে তাঁকে। ইটিমসের মতে, শশী গোবিন্দার বাল্যবন্ধু ছিলেন। শুরু থেকেই তাদের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং অনেক বছর ধরে সে গোবিন্দার জন্য কাজ করেছে।
গোবিন্দার ব্যক্তিগত জীবনে বিতর্ক
চলতি মাসের শুরুতে হঠাৎ রটে যায় যে, বিয়ের ৩৭ বছর পর বিয়ে ভাঙছে গোবিন্দা ও সুনীতার। এমনকী তাঁরা আলাদা আলাদা বাড়িতে থাকছেন আজকাল, এমনটাও শোনা যায়। যদিও এরপর নীরাবতা ভাঙেন খোদ সুনীতা। তিনি মুম্বইয়ের একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরনোর পর, পাপারাজ্জিদের সামনে দাঁড়িয়েই বলে বসেন, ‘কোন মাই কা লাল নেহি হ্যায়, যো গোবিন্দা আর মুঝে আলগ কর সকে…’।
এরপর আলাদা আলাদা বাড়িতে থাকার কারণও সামনে আনেন সুনীতা। জানান, অভিনেতা রাজনীতিতে পা রাখার পর, বাড়িতে নানা ধরনের লোক আসতে শুরু করে। এদিকে মেয়ে টিনা বড় হচ্ছে। সুনীতা ও টিনা হামেশাই শর্টস পরে থাকেন। বাইরের লোকের আসা-যাওয়া এভাবে পছন্দ করেননি গোবিন্দা। তাই বাড়ির সামনেই আরও একটি বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল।