গত ১৩মে ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে সলমন খান অভিনীত ছবি ' রাধে : ইওর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই'। তবে সলমনের বাকি ছবির মতো চিরাচরিত বড়পর্দায় মুক্তি পায়নি এই ছবি। বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে দেশের হাতে গোনা কয়েকটি সিনেমা হল ছাড়া একটি বিশেষ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। ঘোষণা করা হয়েছিল প্রায় ২৫০টাকার মূল্যের বিনিময়ে ওই ছবি দেখতে পারবে দর্শক। সেইমতো লক্ষ লক্ষ দর্শক নিয়ম মেনে ওই ওয়েব প্ল্যাটফর্মেই ছবি দেখেন। কিন্তু পাশাপাশি যা আশা করা হয়েছিল,সেটাও হলো। দর্শকের একাংশ 'রাধে'-এর জাল ভিডিও দেখা শুরু করলো। সলমনের অনুরোধ এবং পরবর্তী সময়ে সতর্কবার্তা সত্ত্বেও বিভিন্ন 'পাইরেটেড' ওয়েবসাইটে রমরমিয়ে চলতে শুরু করেছে 'রাধে'-র জাল ভিডিও। শেষপর্যন্ত উপায় না দেখে ওই ওয়েব প্ল্যাটফর্ম সংস্থার তরফে মুম্বই পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে পুলিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরেই তদন্ত শুরু করে মুম্বই পুলিশ।তদন্তে নেমে সন্ধান পাওয়া যায় ফেসবুক ব্যবহারকারী অশ্বিনী রাঘব নামের এক ব্যক্তি 'রাধে'-এর জাল ভিডিও শুধু ডাউনলোড করেই থেমে থাকেনি। এর সঙ্গে ৫০ টাকার বিনিময়ে জমিয়ে বিক্রি করা শুরু করেছে এই ছবির জাল ভিডিওর প্রিন্ট। বিভিন্ন আগ্রহী দর্শক যে তা কেনাও শুরু করেছে তা বলাই বাহুল্য। পুলিশ সূত্রের খবর, 'অনলাইন পেমেন্ট' নেওয়ার পর হোয়াটস অ্যাপে 'রাধে'-র সেই জাল ভিডিও পাঠাচ্ছিল অভিযুক্ত। নিজেদের অভিযোগকে আরও পাকাপোক্ত ও যুক্তিযুক্ত করতে ওই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের পরিবেশনার দায়িত্বে থাকা টিমের তরফে একটি পরিকল্পনা সাজানো হয়। সেই অনুযায়ী সাধারণ দর্শক সেজে ফোনের ওপর থেকেই যোগাযোগ করা হয় অভিযুক্তের সঙ্গে। তারপর অভিযুক্তের নির্দেশে পাঠানো হয় রাধে'-র জাল ভিডিও দেখার জন্য নির্ধারিত মূল্যও। পাওয়ামাত্রই হোয়াটস অ্যাপে পৌঁছে যায় 'রাধে'-র ' পাইরেটেড ভার্সন'-এর প্রিন্ট। এরপরেই আর দেরি না করে অশ্বিনী রাঘব-এর নামে পুলিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়।শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে অশ্বিনীর পাশাপাশি আরও দুই ব্যক্তির নামেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।