খুশির এই ইদ কেমন করে পালন করছেন টলিপাড়ার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা রিয়াজ লস্কর? ইদের দিনে প্রবল ব্যস্ততার মাঝে একটু সময় বের করে ইদ নিয়ে নানা কথা হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেতা।
খুশির ইদে খোশ মেজাজে রিয়াজ
রমজান মাসের একটা একটা করে দিন গুনতে গুনতে কখন যে একরাশ খুশি নিয়ে ইদ এসে পড়ে তা টেরও পাওয়া যায় না। তবে এই দিনটা একা আসে না, সঙ্গে আনে সেমাই, পায়েসের ঘ্রাণ, পাট ভাঙা নতুন জামা, সালামি আর একরাশ আনন্দ। আনন্দের এই উৎসব কেমন করে পালন করছেন টলিপাড়ার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা রিয়াজ লস্কর? ইদের দিনে প্রবল ব্যস্ততার মাঝে একটু সময় বের করে ইদ নিয়ে নানা কথা হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেতা।
ইদের প্রসঙ্গ উঠতে প্রথমেই একটু আক্ষেপের সুরে তিনি বললেন ‘ছোটবেলার মতো ইদে সেই ব্যাপারটা আমি আর খুঁজে পাই না।' রিয়াজের কথায় তখন অনেক দিন আগে থেকে একটা একটা করে দিন গুনতে শুরু করতাম। আসলে তখন এত দায়িত্ব ছিল না। সেই সময় মাথায় এত চিন্তা থাকত না, এত চাপ থাকত না জীবনে। মন খুলে আনন্দ করতে পারতাম। বড় হতে হতে ছবিটা অনেকটা বদলে গিয়েছে। হঠাৎ করেই ইদের দু’দিন আগে মনে হয় যে, ইদের রেশ চলে এসেছে। আবার ইদটা চলে গেলেই সেই প্রতিদিনের রোজনামচা, আবার কাজ। এখন ইদ হঠাৎ করে আসে আর হঠাৎ করেই চলে যায়।'
তবে ইদ তো সব সময়ই খুশির, তাই এ বছরও পরিবার আর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে খুশিতেই কাটাচ্ছেন অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আজ সকালটা শুরু হল নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে। প্রতিবছর এমনটাই হয়। তারপর বাড়ি ফিরতেই বন্ধুরা আমার বাড়ি এসেছিল। এরপর আমি এক এক করে বন্ধুদের বাড়ি যাই। আর এই দিনটার একটা বিশেষত্ব হচ্ছে, এদিন সবার বাড়িতে গেলে মিষ্টি মুখ করাটা মাস্ট। তাই বন্ধুদের বাড়িতে পায়েস, সেমাই একটু একটু করে চেখে দেখেছি। এখন সায়ক (সায়ক চক্রবর্তী) আর সুকান্ত (সুকান্ত কুণ্ডু) আমার বাড়িতে এসেছে। ওঁদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটবে। তারপর বাকি যে সব বন্ধুদের বাড়ি যাওয়া হয়নি, তাঁদের বাড়ি যাব। আসলের আজকের দিনে সবাই আমরা চেষ্টা করি সবার সঙ্গে দেখা করার, একটু আনন্দ-মজা করার।'
ইদের আনন্দ ভাগ করতে নিতে রিয়াজের বাড়ি হাজির সায়ক-সুকান্ত
কিন্তু শুধু আনন্দ মজা নয়, ইদ মানে একরাশ খাওয়া দাওয়াও। রিয়াজের বাড়িরও একেবারেই তার ব্যতিক্রম নয়। তাঁর বাড়িতেও আজ ছিল বিশেষ ভোজের আয়োজন। জিভে জল আনা সব পদ মা আর বউদি মিলে নিজের হাতে রান্না করেছেন। বাবার কথায় এই গরমে বিরিয়ানির বদলে বাঙালি সব পদে সেজে উঠেছিল তাঁদের দুপুরের মেনু। কী কী মেনুতে ছিল? তাও জানিয়েছেন নায়ক। রিয়াজের কথায়, ‘সায়করা যতবারই আসে প্রায় দিনই বিরিয়ানি বানানো হয়। কিন্তু আজ বাবার কথায় মেনুতে রাখা হয়েছে সাদা ভাত, চিংড়ি, মাটন, চিকেন, নানা রকমের ভাজা, মাছ এই সব।'
তবে কেবল ঝাল নয়, শেষ পাতে রকমারি মিষ্টিও ছিল ইদের আনন্দকে দ্বিগুণ করে দেওয়ার জন্য। সেই তালিকায় ছিল সেমাই, পায়েস। আবার এই সেমাইয়ের মধ্যেও ছিল নানা রকম ভেদ। রিয়াজ বলেন, ‘দু-তিন রকমের সেমাই হয়। একটা হয় দুধ দিয়ে। আর আর একটা ঘি আর অল্প চিনি দিয়ে ভাজা ঝরঝরে একটা সেমাই হয়। সেটাও হয়েছে।’