শাহরুখের 'জওয়ান'-এ ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছবির গান, প্রসেনজিৎ বললেন, 'আমি ভীষণ, ভীষণ খুশি। তবে আমার থেকেও বেশি excited আমার ছেলে। আমার বাবা, আসলে এরাঁ তো একটা যুগ। তাই ওঁদের ছবির গান ব্যবহার করে যখন ট্রিবিউট দেওয়া হচ্ছে, তখন ওঁর ছেলে হিসাবে আমি খুবই আনন্দিত, excited হয়েছিলাম।
প্রসেনজিৎ-শাহরুখ
পুজোয় আসছে বহু চর্চিত সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বাংলা ছবি ‘দশম অবতার’পর্দায় ফিরছেন সেই দুঁদে পুলিশ আধিকারিক ‘প্রবীর রায় চৌধুরী’। তবে এবার এক্কেবারেই অন্যরকম অবতারে, ২০ বছর আগে ফিরে গিয়ে প্রবীর রায় চৌধুরী এখন আরও অনেক বেশি ‘ইয়ং’। আর নিজেকে প্রবীর রায় চৌধুরী হিসাবে তুলে ধরতে ৬১ বছর বয়সেও নিজের ভোল বদলে ফেলেছেন টলিপাড়ার 'বুম্বাদা'। পর্দায় প্রবীরের বেশে প্রসেনজিতের বয়স চেনা তাই বড়ই দায়। ঠিক যেমনটা শাহরুখের।'জওয়ান'-এ যেমন কিং খানকে দেখে অনেকেই হোঁচট খেয়েছেন। তেমনই প্রবীর রায় চৌধুরীর বেশে প্রসেনজিৎকে দেখেও ঝটকা লাগবে। বোঝার বিন্দুমাত্র উপায় নেই, যে তিনি সদ্য ৬১-তে পা রেখেছেন।'দশম অবতার' নিয়ে Hindustantimes বাংলার সঙ্গে আড্ডায় উঠে এসেছিল সেই প্রসঙ্গটিই।
'অনেকেই তো বলছেন আপনিই নাকি টলিপাড়ার শাহরুখ'
এমন কথায় (মাথার চুলে হাত বোলাতে বোলাতে, হালকা হেসে) প্রসেনজিৎ বললেন, শাহরুখকে নিয়ে একটাই কথা বলব, ও Inspiration (অনুপ্রেরণা) শুধু আমাদের কাছে নয়, পরের প্রজন্মের কাছেও শাহরুখ অনুপ্রেরণা।' বুম্বাদার কথায়, ‘শাহরুখ ইজ ব্যাক-এই কথাটাই ভুল। শাহরুখ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রতি একটা বড় দায়িত্ব পালন করেছেন। উনি শুধু নিজে ফেরেননি, গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে ফিরিয়ে ফর্মে ফিরিয়ে এনেছেন। এটাকেই বলে দায়িত্ব। শাহরুখ ব্র্যান্ড-এর দায়িত্ব তো ওঁর রয়েছেই। শাহরুখ চিরকালই শাহরুখ-ই থাকবেন। তবে বড় কথা হল দায়িত্ব, যে উনি শুধু নিজেকে নয়, গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে অক্সিজেন জোগাচ্ছেন। আর এঁর জন্যই আমি ওঁকে স্যালুট জানাতে চাই।’
এখানেই শেষ নয়, বুম্বাদার সঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার উঠে এল শাহরুখের 'জওয়ান' প্রসঙ্গও। আর আসবে নাই বা কেন! 'জওয়ান'-এর বহু চর্চিত দৃশ্যটি হল শাহরুখের মেট্রোর মধ্যে ‘বেকরার করকে হামে’ গানে নাচ। যে গানটি কিনা আসলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছবির গান। গানটি ১৯৬২ সালে মুক্তি পাওয়া সুপার হিট 'বিস সাল বাদ' ছবির। শাহরুখের ছবিতে তাঁর বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছবির গানের ব্যবহার দেখে কী মনে হয়েছিল তাঁর?
এবিষয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমি ভীষণ, ভীষণ খুশি। তবে আমার থেকেও বেশি excited আমার ছেলে। আমার বাবা, আসলে এরাঁ তো একটা যুগ। তাই ওঁদের ছবির গান ব্যবহার করে যখন ট্রিবিউট দেওয়া হচ্ছে, তখন ওঁর ছেলে হিসাবে আমি অবশ্যই খুবই আনন্দিত, excited হয়েছিলাম।