‘ধুলোকণা’র পর ‘কার কাছে কই মনের কথা’র সঙ্গে ফের টেলিভিশনের পর্দায় ফিরেছেন মানালি দে। জি বাংলার এই মেগার প্রথম প্রোমোই নজর কেড়েছিল নেটিজেনদের। এখনও পর্যন্ত সিরিয়ালের বয়স সবে ১১ দিন, আর শুরুটা ধামাকেদার করল ‘কার কাছে কই মনের কথা’। এদিন সামনে এসেছে সিরিয়ালের প্রথম টিআরপি, আর শুরুতেই ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’কে হারিয়ে স্লট লিডার মানালি-বাসবদত্তা-স্নেহারা। আরও পড়ুন-মনের কথা বোঝে না বর, শাশুড়ি খুঁত খুঁজতে ব্যস্ত, মানালির সহচরী হয়ে উঠবে পড়শিরা
সেরা দশে ঢুকতে না পারলেও ৪.৮ রেটিং নিয়ে সন্ধ্যে ৬.৩০-টার স্লট পুনরুদ্ধার করল ‘কার কাছে কই মনের কথা’। উনিশ-বিশের ফারাক দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর। ‘কমলা ও পৃথ্বীরাজ’-এর সংগ্রহে রয়েছে ৪.৭ নম্বর। প্রথম সপ্তাহে স্লট দখল করে কেমন অনুভূতি ‘শিমুল’-এর? সিরিয়ালের শ্য়ুটিং সেট থেকেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে মানালি জানালেন- সত্যি কথা বলতে আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। রেটিং নিয়ে নিয়ে ভাবছি না। ভালো হলে নিশ্চই ভালো লাগবে, না হলে আরও ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। দর্শকদের এই শো’টা ভালো লাগুক সেটাই একমাত্র চাওয়া'।
এরপর মানালির সংযোজন, ‘বেশি রেটিং নিয়ে ভাবলে সেটা কাজে প্রভাব ফেলে। তাই বেশি ভাবছি না। সবাই যেন কার কাছে কই মনের কথার সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করতে পারে’। আপতত চলছে শিমুলের বিয়ের ট্র্যাক। কনে সেজে শ্যুটিং চালাচ্ছেন মানালি। বললেন- ‘প্রচণ্ড চাপ চলছে’। শিমুল চরিত্রের সঙ্গে নিজে কতটা একাত্ম হয়ে উঠতে পারলেন মানালি? হাসি মুখে জবাব, 'এই তো সবে কাজটা শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে আমরা মূল গল্পের দিকে এগোচ্ছি। কতটা নিজের সঙ্গে রিলেট করতে পারছি সেটা সময় বলবে। কোথাউ মিল রয়েছে, কোথাউ অমিলও রয়েছে…. আমি শিমুল হয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। এখনও অবধি এই স্টেজেই রয়েছি। খুব বেশিদিন তো শ্যুটিং হয়নি। যত সময় এগোবে আরও বুঝতে পারব'।
মানালির পাশাপাশি এই সিরিয়ালে রয়েছেন স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, কুয়াশা বিশ্বাস, সৃজনী মিত্ররা। পাঁচ নারীর বন্ধুত্বের উদযাপন এই মেগা। সিরিয়ালে মানালির স্বামীর চরিত্রে রয়েছেন দ্রোণ। শুরুতে অনেকেই ভেবেছিল মানালি-বাসবদত্তাদের এই শো আসবে প্রাইম টাইমে। কিন্তু তেমনটা ঘটেনি। ‘সোহাগ জল’ শেষ হতেই ‘খেলনা বাড়ি’কে রাত ৯টায় পাঠিয়ে সন্ধ্যেবেলা এই নতুন মেগাকে স্লট দিয়েছে জি বাংলা। সেরা দশের তালিকায় কত জলদি উত্থান হয় এই সিরিয়ালের সেটাই দেখার।