অবশেষে বহু জল্পনা, আলোচনার অবসান। আজই (২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) সাতপাক ঘুরছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল ৬ মার্চ একই দিনে নাকি বিয়ে-রিসেপশন দুটোই একসঙ্গে করছেন তাঁরা। তারপর জানা গেল. ৬ মার্চ শুধুই রিসেপশন, বিয়েটা আসলে হচ্ছে ২ ফেব্রুয়ারি, শনিবার।
ঠিক যেমনটা চেয়েছিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। প্রথা, রীতি, রেওয়াজ সব মেনেই বিয়েটা হচ্ছে। তবে শুধু শ্রীময়ী নন, বেশিরভাগ মেয়েরই হয়ত এমনই স্বপ্ন থাকে, প্রথা মেনে বিয়ে করার। এর আগে Hindustan Times Bangla-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও শ্রীময়ী প্রথা মেনে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও বলেছিলেন, তাড়াহুড়োতে এত অল্প সময়ে আয়োজন, হয়ত আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান করে ওঠা সম্ভব হবে না। তবে শেষপর্যন্ত প্রথা মেনেই হল সবটা।
এদিন খুব ভোরে উঠে দধিমঙ্গল ও নান্দীমুখ পর্ব, সবই সেরেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। সকালের সেই অনুষ্ঠানের জন্য লালপাড় সাদা স্ট্রাইপ শাড়ি সঙ্গে ভারি সোনার গয়না ও টোপর মাথায় সেজেছিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। আর কাঞ্চন মল্লিক সেজেছিলেন হলুদ পাঞ্জাবি আর সাদা চোস্তা পাজামায়। তারই কিছু মুহূর্তে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ফটোগ্রাফার তথাগত ঘোষ।
আরও পড়ুন-‘মালাবদল হবে এরাতে…’, সোহাগে, হলুদে মাখামাখি কাঞ্চন-শ্রীময়ী

বিয়ের সকালে শ্রীময়ীর সাজ
(ছবি-তথাগত ঘোষ)
বিয়ের সকালে কাঞ্চন মল্লিক
(ছবি-তথাগত ঘোষ)
বিয়ের সকালে কাঞ্চন মল্লিক
(ছবি-তথাগত ঘোষ)
বিয়ের সকালে শ্রীময়ীর সাজ
(ছবি-তথাগত ঘোষ)শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী শ্রীময়ী ইতিমধ্যেই বিয়ের জন্য বধূ বেশে সাজতে শুরু করেছেন। সন্ধের অনুষ্ঠানে শ্রীময়ী পরছেন লাল রঙের বেনারসি। আর কাঞ্চনের গায়ে থাকছে ডিজাইনার সাদা পাঞ্জাবি-লাল ধুতি। শুভদৃষ্টি, মালাবদল, সাতপাক, সিঁদুর দান— সবটাই এদিন হবে রীতিনীতি মেনে। প্রথমে ঠিক ছিল একজন ডিজাইনারের কাছ থেকে বিয়ের ড্রেস নেবেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। তবে তাড়াহুড়োয় সেটা আর হয়ে ওঠেনি। শ্রীময়ী নিজেই নিজের বিয়ের ড্রেস ডিজাইন করেছেন। এমনকি কাঞ্চনের বিয়ের ড্রেসও তাঁরই ঠিক করে দেওয়া।
জানা যাচ্ছে, কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের মেনুতে থাকছে পুরোপুরি বাঙালি খাবার। থাকছে কড়াইশুটির কচুরি, আলুরদম, ফিসফ্রাই, মটন কষা, পোলাও।