খুদে প্রতিযোগীকে দু হাত ভরে আশীর্বাদ করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
ক্রিকেট মাঠে ধামাকেদার চার-ছয় মেরেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। একই ভাবে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন সঞ্চালক হিসেবেও। দাদাগিরি-র সেই প্রথম সিজন থেকে যুক্ত আছেন তিনি। মাঝে একটি সিজন সঞ্চালনা করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তাকে খাপ খাওয়াতে পারেননি।
সঞ্চালক হিসেবে সৌরভের প্লাস পয়েন্ট হল মিশুকে স্বভাব। কীভাবে যেন সকলেরই ঘরের মানুষ মনের মানুষ হয়ে ওঠেন তিনি। এমনকী, দাদাগিরিতে যখন বাচ্চারা আসে, তাঁদের সঙ্গে নিজেও বাচ্চা হয়ে যান। তাই হয়তো খুব সহজে জড়তা কেটে যায় সেই খুদেগুলোর।
জি বাংলার তরফে দাদাগিরির একটি নতুন প্রোমো শেয়ার করা হল। তাতে দেখা গেল, এক খুদেকে সৌরভ প্রশ্ন করছেন, ‘তুই বড় হয়ে কী হতে চাস?’ আর তাতে লাল পাঞ্জাবি পরা বালকটি বলে, ‘আমি তোমার মতো বড় মনের মানুষ হতে চাই, ঠিক আপনার মতো’। এরপর সে বলে ওঠে, ‘ভালো মনের মানুষকে নিজের সবকিছু উজাড় করে দিতে হয়’।
আরও পড়ুন: ‘বর-শাশুড়ি বাড়ির কাজের লোক, আমি রানি!’, হয়ে গিয়েছে বিয়ে, অভিজ্ঞতা ভাগ নন্দিনীর
শুনেই যেন আঁতকে উঠলেন সৌরভ। বলে উঠলেন, ‘ওরে বাবা রে’। এরপর দাদার আশীর্বাদ চায় সেই ছোট্ট প্রতিযোগী। বলে, ‘আপনি আমাকে আশীর্বাদ করবেন।’ তাতে সৌরভ বলেন, ‘আশীর্বাদ করছি এতও বড় হবি, ওতেও বড় হবি। (হাত দিয়ে উচ্চতা আর বড় মন দেখিয়ে)।’
দাদাগিরির ১০ নম্বর সিজন শুরু হয়েছে সেপ্টেম্বর থেকে। শুরুতে শুক্র ও শনি রাত সাড়ে ৯টায় সম্প্রচারিত হচ্ছিল এটি। পুজোর পর থেকে তা শনি ও রবি সপ্তাহান্তে নিয়ে আসা হয়। বরাবরই ভালো টিআরপি ধরে রাখতে সক্ষম এই রিয়েলিটি শো। এবারেও অন্যথা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে এসে হয়েছেন বলিউডের ‘ডান্স কুইন’! জড়ান আর্থিক দুর্নিতীতে, বলুন তো কে?
নিজের সঞ্চালনা নিয়েও কদিন আগে কথা বলতে শোনা গেল সৌরভকে। রবিবার তারকা স্পেশাল এপিসোডে সৌরভের প্রশংসা করে নিজের দেওর বলে উল্লেখ করেন অভিনেত্রী সম্পূর্ণা লাহিড়ির মা। দাদার প্রশংসায় তিনি বলেন, ক্রিকেটের মাঠে সৌরভের খেলা দেখলে বরাবরই গর্বে তাঁর বুক ফুলত। তাঁর শ্বশুরবাড়ি বেহালায় হওয়ায় অনেকেই মস্করা করে সৌরভকে বলত তাঁর ‘দেওর’। এতে গর্বই হত সম্পূর্ণার মায়ের। সঙ্গে সৌরভের সঞ্চালনার প্রশংসাও করেন তিনি। যাতে দাদার স্বগোক্তি, ‘আমিও মাঝে মাঝে এপিসোডগুলো দেখে ভাবি, এত বকি কী করে’।