বিতর্ক যেন নোবেলের কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। সারেগামাপা খ্যাত গায়ক ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। কখনও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে মন্তব্য করায়, কখনও আবার অতিরিক্ত নেশা করায় বিতর্ক তৈরি করেছেন তিনি। তবে ৮ মাস আগে নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে ঘুরে আসার পর তিনি জানিয়েছিলেন, এখন অনেকটাই ভালো আছেন তিনি।
সবকিছুই ঠিক চলছিল কিন্তু সোমবার রাতে অর্থাৎ ১৯ মে আবার গ্রেফতার হলেন নোবেল। একটি মেয়েকে ৭ মাস বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অপরাধে বাংলাদেশের ডেমরা থানার পুলিশ আটক করে গায়ককে। জানা যায়, ওই মেয়েটি নাকি বাংলাদেশের জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে গোটা ঘটনা জানান। তারপরেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। গায়কের বিরুদ্ধে মামলা করে ওই মেয়েটি। গ্রেফতার হন নোবেল।
আরও পড়ুন: অপেশাদার! ‘হেরা ফেরি ৩’ ছেড়ে দেওয়ায় পরেশের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত অক্ষয়ের
আরও পড়ুন: 'কোটিপতি হলেও ও আদপে মধ্যবিত্ত...', শাহরুখ সম্পর্কে কেন বললেন অনুভব?
কিন্তু কয়েকঘন্টা যেতে না যেতেই পরিস্থিতি পুরো পাল্টে যায়। আজ অর্থাৎ ২১ মে নোবেলকে আদালতে তোলা হলে গায়কের আইনজীবী দাবি করেন, ওই অভিযোগকারী তরুণী নাকি গায়কের স্ত্রী। নির্যাতিতার ভুল-বোঝাবুঝির জেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। যেহেতু ওই মেয়েটি নোবেলের স্ত্রী, তাই আলাদা করে আটকে রাখার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
নোবেলের আইনজীবী আরও জানান, গোটা ব্যাপারটাই ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। ওই তরুণী ৪ মাসের অন্তঃসত্তা বলেও দাবী জানান নোবেলের আইনজীবী। তিনি এও বলেন, নোবেল স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে চান। আইনজীবীর কাছে গোটা বিষয়টি শোনার পর কাবিননামা দেখতে চান আদালত, কিন্তু তা দেখাতে পারেননি অভিযুক্ত গায়কের আইনজীবী।
আরও পড়ুন: সবুজ শাড়িতে শর্মিলা, শ্বেতশুভ্র সিমি, মুগ্ধ দর্শকরা বললেন, ‘এভাবেই সাজতে হয়…’
আরও পড়ুন: মুক্তি পেল ‘ওয়ার ২’ টিজার, প্রকাশ্যে ছবি মুক্তির তারিখও, কবে আসছে হৃত্বিকের ছবি?
আইনজীবীর বক্তব্য অনুযায়ী, তাড়াহুড়োয় তিনি ভুলে গেছেন কাবিননামা নিয়ে আসতে। যদিও কাবিননামা না দেখে আদালত কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই গোটা বিষয় নিয়ে নির্যাতিতার তরফ থেকে কোনও বক্তব্য শুনতে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, গত নভেম্বরে ওই মেয়েটির সঙ্গে দেখা করেন নোবেল। তারপরেই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাকি বাড়িতে আটকে রাখেন তিনি। চলতে থাকে নির্যাতন এবং ধর্ষণ। সমস্ত ঘটনা নিজের মোবাইলে ভিডিয়োও করেন গায়ক, যা দেখিয়ে বারবার মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন নোবেল।