সূর্যশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের গল্প নিয়ে আসছে ‘দাবাড়ু’। আর সূর্যশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে তৈরি চরিত্রের কোচের ভূমিকায় অভিনয় করছেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। সম্প্রতি নিজের সেই চরিত্র, সহ নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন চিরঞ্জিৎ। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রথম এই ছবিতে আমার রোলটা পছন্দ ছিল না। তারপর আমি সাজেস্ট করি, যদি এইরকম করা যায়। আসলে ওরা কিছুতেই ছাড়তে চাইছিল না আমায়। তারপর শিবুকে বলি, চরিত্রে অন্য অ্যাঙ্গেল যোগ করা হয়। তাতে আমার চরিত্রে চ্যালেঞ্জিং পার্টটা এসে গিয়েছিল। একটা সময় আমি সূর্যকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। সেখানে একজনের হাতে আমি ওকে দিয়ে গিয়েছিলাম, সেই চরিত্রে রয়েছেন কৌশিক সেন। তবে কৌশিক ওকে বুঝতে পারিনি, বোঝেনি যে ও জিনিয়াস। আমি আবার ওকে এসে বলি, অর্জুনকে শিক্ষা দিতে অন্যভাবে ভাবতে হবে। যে বলে পাখি দেখছে না, শুধু পাখির চোখ দেখছে, সেটা আর কেউ বলবে না। কাছেই ওকে তুমি যে প্রসেস শেখাচ্ছো, সেটা নরম্যাল প্রসেস হতে পারে। ওকে বোঝার জন্য সেই মন, চোখ তোমার নেই। এই রকম একটা জায়গায় ক্ষিদ্দা-র (কোনি ছবি) মতো ব্যাপার আছে।’
তবে সাক্ষাৎকারে চিরঞ্জিৎ জানান, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর দাবার থেকে আউটডোর গেমসেই বেশি আগ্রহ। আমি একসময় ক্রিকেট, ফুটবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন খেলেছি। তবে বর্তমানে ছবির সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে চিরঞ্জিৎ বলেন, 'যেমন ছবি পাই, তেমন করি। আমি কখনও কোনওদিন ছবি চাইনি।'
অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতি নিয়েও মুখ খোলেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। তিনি জানান, রাজনীতিতে এসেছেন শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছেতে। তাঁর কথায়, ‘আমি যতবারই বলছি, এটা আমার কাজ না, কিন্তু উনি আমাকে ছাড়ছেন না।’
তারকারা নিজের কেন্দ্রে সময় দেন না, এই অভিযোগ প্রসঙ্গে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘আমি তো সময় দিই, নয়ত ১৫ বছর থাকতে পারতাম না। প্রত্যেক সপ্তাহে দু'দিন কে আমি কেন্দ্রে যাই। মানে মাসে ৮দিন যাই।’ চিরঞ্জিৎ জানান, তিনি রাজনীতিতে এতটা সময় দেন সেটা আনন্দ পান বলেই। শুধুমাত্র দায়বদ্ধতার জন্য নয়। তবে এরপরেও একটা কথা স্পষ্ট জানান, 'রাজনীতির থেকে সিনমাই আমার বেশি প্রিয়'। আর শেষদিন পর্যন্ত তিনি সিনেমাকেই তিনি আঁকড়ে থাকতে চান। তবে এসবের বাইরেও তিনি ছবি আঁকেন, গান করেন, লেখেন, এমনই নানানরকম কাজ করেন বলে জানান।