যে জেলার ছাত্র মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে, সার্বিকভাবে পাশের হারের নিরিখে সেটিই বহু পিছিয়ে রয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, এবার মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের অদৃত সরকার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৬। অথচ জেলাভিত্তিক পাশের হারের নিরিখে ২২ নম্বরে আছে অদৃতের জেলা উত্তর দিনাজপুর। সেই জেলার থেকে পিছিয়ে আছে শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি। অন্যদিকে গতবার জেলার নিরিখে প্রথম হওয়া কালিম্পংকে ছাপিয়ে পয়লা নম্বর স্থান দখল করে নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। জেলাভিত্তিক পাশের হারের নিরিখে পূর্ব মেদিনীপুর প্রথম স্থান অধিকার করেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে কালিম্পং। কলকাতা আছে তৃতীয় স্থানে। সবমিলিয়ে মোট পাঁচটি জেলায় পাশের হার ৯০ শতাংশের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে। আর দুটি জেলার পাশের হার একেবারে ৯০ ছুঁইছুঁই।
২০২৫ সালের মাধ্যমিকে জেলাভিত্তিক পাশের হার
১) পূর্ব মেদিনীপুর: ৯৬.৪৬ শতাংশ।
২) কালিম্পং: ৯৬.০৯ শতাংশ।
৩) কলকাতা: ৯২.৩ শতাংশ।
৪) পশ্চিম মেদিনীপুর: ৯১.৪১ শতাংশ।
৫) উত্তর ২৪ পরগনা: ৯০.০৮ শতাংশ।
৬) দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ৮৯.৯৫ শতাংশ।
৭) হুগলি: ৮৯.৮৯ শতাংশ।
৮) হাওড়া: ৮৮.৭৫ শতাংশ।
৯) নদিয়া: ৮৮.৭৪ শতাংশ।
১০) পূর্ব বর্ধমান: ৮৫.০৫ শতাংশ।
১১) ঝাড়গ্রাম: ৮৪.৯৩ শতাংশ।
১২) কোচবিহার: ৮১.৬৩ শতাংশ।
১৩) মুর্শিদাবাদ: ৭৯.০২ শতাংশ।
১৪) মালদা: ৭৮.১৫ শতাংশ।
১৫) দার্জিলিং: ৭৮.০৫ শতাংশ।
১৬) দক্ষিণ দিনাজপুর: ৭৭.৯৬ শতাংশ।
১৭) পুরুলিয়া: ৭৭.৮৫ শতাংশ।
১৮) বাঁকুড়া: ৭৭.৭ শতাংশ।
১৯) বীরভূম: ৭৫.৪১ শতাংশ।
২০) পশ্চিম বর্ধমান: ৭৩.৮৭ শতাংশ।
২১) আলিপুরদুয়ার: ৭২.৭১ শতাংশ।
২২) উত্তর দিনাজপুর: ৭১.০৩ শতাংশ।
২৩) জলপাইগুড়ি: ৬৯.৪৭ শতাংশ।
মাধ্যমিকের পাশের হার - ছাত্র ও ছাত্রীদের পরিসংখ্যান
এমনিতে এবার ৬৯ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালে মোট ৯,১৩,৮৮৩ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। ছাত্রের সংখ্যা ছিল ৪,১২,৯৫৯। আর ৫,০০,৯২৪ জন ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। উত্তীর্ণ হয়েছে মোট ৭,৯১,০৮৮ জন পড়ুয়া। তাদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা হল ৪,২২,৭৬৬। যা শতাংশের বিচারে ৮৪.৩৯ শতাংশ। আর ৮৯.১৯ শতাংশ ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছে। সংখ্যার নিরিখে সেটা ৩,৬৮,৩২২। সবমিলিয়ে এবার মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ।
মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় কতজন আছে?
আবার ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকায় মোট ৬৬ জনের নাম আছে। গত বছর প্রাথমিকভাবে যখন পর্ষদ ফলাফল ঘোষণা করেছিল, তখন মেধাতালিকায় ৫৭ জনের নাম ছিল। পরবর্তীতে আরও সাতজনের নাম যুক্ত হয়েছিল মেধাতালিকায়। ফলে মোট ৬৪ জন মেধাতালিকায় ঠাঁই পেয়েছিল।