বাউল গানের জগত থেকে খসে পড়ল আরও একটি তারা। প্রয়াত হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাউল শিল্পী সাধন দাস বৈরাগ্য। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিষাদের ছায়া বাউল গানের শ্রোতাদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি দীর্ঘদিন ধরেই। রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ নিজের আশ্রমেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। চলে যান না ফেরার দেশে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।সাধন দাস বৈরাগ্যের অনুগামী ও গুনগ্রাহীর তালিকা বেশ দীর্ঘ। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও যা ছড়িয়ে আছে। বাউল গান তাঁর জন্য ছিল সাধনা। জাপানে গিয়ে প্রথমে খ্যাতি পেয়েছিলেন। তাঁর টানেই জাপান থেকে মাকি কাজুমি আসেন ভারতে। সাধনের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তাঁর কাছ থেকেই বাঙল গান শেখা শুরু করেন। সাধন বৈরাগ্যের সঙ্গে আশ্রমেই থাকতেন তিনি। তারপর দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ আসেন সাধনের আশ্রমে। যার মধ্যে আছেন এঁদের মধ্যে আছেন কাজুমি ফুকাজয়া, শোকো নিশিমুড়া, কানাকো শিমিজুরা। বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরে ছিল তাঁর প্রথম আশ্রম। পরে আমরুল গ্রামে নিজের আশ্রম গড়ে তোলেন সাধন দাস। সেখানেই শিষ্যদের নিয়ে নিজের মতো করে কাটাতেন সরল সাধাসিধে জীবন। রবিবার করে বসত ‘সদানন্দের হাট’। জয়দেবের কেঁদুলী মেলায় মাইকের আওয়াজ বন্ধ করার আর্জিও জানিয়েছিলেন সম্প্রতি। যাতে প্রকৃতির সুর হারিয়ে না যায়। তবে সে কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে গেলেন। দায়িত্ব দিয়ে গেলেন শিষ্যদের কাঁধে।