কদিন আগে শহর কলকাতার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায় কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে চুম্বনে রপ্ত এক যুগল। আর কেউ বা কারা সেই মুহূর্তটিকে ফ্রেমবন্দি করে ছড়িয়ে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেখানে নীতি পুলিশরা বসে গিয়েছে ‘চরিত্র বিশ্লেষণে’। শহর কলকাতায় চুমু নিয়ে প্রতিবাদ এর আগেও দেখে শহর কলকাতা। যাদবপুরের ‘হোক চুম্বন’ এখনও স্মৃতিতে উজ্জ্বল। কিন্তু দেখা গেল, সেই ঘটনার পর ১০ বছর হয়ে গেলও, অবস্থা যেই কে সেই।
বহু তারকা এই নিয়ে পোস্ট করেছেন। বিরসা দাশগুপ্ত, শ্রীলেখা মিত্ররা আওয়াজ তুলেছেন এই নীতি-পুলিশদের বিরুদ্ধে। এবার ভিডিয়ো পোস্ট করলেন কিরণ দত্ত। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘ওরা যেটা করছে সেটা নোংরামো হলে, আপনারা যেটা করছেন সেটা দশ গুণ নোংরা।’
আরও পড়ুন: ‘পাতি মধ্যবিত্তর শহর হয়ে গিয়েছে কলকাতা’, আরজিরের সময় শোনেন ‘চটিচাটা’, বিস্ফোরক মন্তব্য অপর্ণা সেনের
বং গাইকে তাঁর ভিডিয়োতে বলতে শোনা গেল, ‘আজও বুঝি না দুটো প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে-মেয়ে প্রকাশ্যে একে-অপরকে চুমু খেলে কাদের কীসের সমস্যা। নিজের পুরুষাঙ্গ লকলক করে বের করে, কাওকে প্রস্রাব দেখলে কারও গা কুটকুট করে না। কোনো মেয়েকে প্রকাশ্যে হ্যারাস করা হলে, তা দেখে কারও গা কুটকুট করে না। শুধু স্বেচ্ছায় কেউ কাউকে ভালোবাসলেই নাকি সংস্কৃতি নষ্ট আর বাচ্চারা কী শিখবে তা নিয়ে জ্ঞান।’
আরও পড়ুন: ‘মেম বউ’র হবু স্বামী কে? বড় চমক! সোনালি চুল, আধ-ভাঙা বাংলা বলা বিনীতার বিয়ে শ্রীকৃষ্ণ ধামে
এরপর কিরণ স্পষ্ট করেন, ‘বাচ্চারা ভালোবাসতে শিখবে। একটা অচেনা লোকের পুরুষাঙ্গ দেখার চেয়ে হাজার গুণ ভালো। এয়ারপোর্ট বা রেল স্টেশনে হয়তো এক প্রেমিক তাঁর প্রেমিকাকে ৫ মাস পর দেখছে। জড়িয়ে ধরাটাই স্বাভাবিক।’
‘ওরা যেটা করছে সেটা নোংরামো হলে, আপনারা যেটা করছেন সেটা দশ গুণ নোংরা। কোনো মেয়ের চরিত্র নিয়ে কথা বলার চেয়ে তাঁর হাতটা ধরা অনেক সভ্য কাজ। মাত্রা খুবই ছাড়িয়ে ফেললে তাঁদের বলুন, পুলিশকে কল করুন। তাঁদের হয়রানি করার অনুমতি আপনাকে কেউ দেয়নি।’, বলতে শোনা গেল কিরণ দত্তকে।
আরও পড়ুন: স্টেজে টক্কর, আর পিছনে বড় ভাব সারেগামাপার সুরের জাদুকর আরাত্রিকা-দেয়াসিনীর! ঘটালেন এই কাণ্ড
তিনি নিজের মন্তব্যে আরও জুড়লেন, ‘সমাজের এত চিন্তা থাকলে প্রকাশ্যে সিগারেট খাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করুন। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা, পান গুটকার পিক ফেলা নিয়ে বিরোধ করুন। সরকারি দফতরে যে অরাজকতা হয়, সেগুলো নিয়ে বিরোধ করুন। কেউ ট্রাফিক নিয়ম না মানলে বিরোধ করুন। এগুলো কিছুই আপনারা করবেন না। কারণ ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে বিরোধ করার মতো দম আপনাদের নেই। আপনাদের দম ওই ভালোবাসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা’