গত বছর 12th fail সিনেমার মাধ্যমে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছিলেন পরিচালক বিধু বিনোদ চোপড়া। একাধারে তিনি যেমন পরিচালক, তেমন তিনি একজন প্রযোজকও। বলিউডে এই সাফল্য একদিনেই আসেনি। প্রথম সিনেমা মুক্তির পর আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্তও নিতে হয়েছিল তাঁকে।
১৯৮০ দশকে প্রথম বলিউডে পদার্পণ করেছিলেন পরিচালক। ১৯৮১ সালে ‘সাজায়ে মৌত’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম মূলধারার সিনেমা পরিচালনা করেছিলেন বিধু। নাসিরউদ্দিন শাহ অভিনীত এই সিনেমাটি ছিল FTII ডিপ্লোমা সিনেমা মার্ডার অ্যাট মাঙ্কি হিল থেকে অনুপ্রাণিত। সিনেমাটির গল্প দুর্দান্ত হলেও বক্স অফিসে ভীষণভাবে ব্যর্থ হয় সিনেমাটি। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম সিনেমার এই করুণ পরিণতি দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন পরিচালক।
আরও পড়ুন: হাজির ইন্ডাস্ট্রির নতুন ‘প্রেম’! কে হচ্ছেন সুরজ বরজাতিয়ার আগামী সিনেমার নায়ক?
আরও পড়ুন: ৫ নং স্বপ্নময় লেন নিয়ে ব্যস্ততা, তার মাঝেই রাস্তা ধারে বসে সমর দা'র বিরিয়ানি খেলেন মানসী সিনহা!
12th fail সিনেমা তৈরি হওয়ার বেশ কিছু দৃশ্য এক জায়গায় এনে তিনি তৈরি করেছিলেন ‘জিরো সে রিস্টার্ট’। চলতি বছর মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটির প্রচারের সময় ND টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করে পরিচালক বলেন, শূন্য থেকে শুরু এটি শুধু সিনেমার ক্ষেত্রে নয় আমার জীবনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ১৯৮১ সালে যখন প্রথম সিনেমা মুক্তি পায় তখন সেটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পর আমি আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে গিয়েছিলাম।
পরিচালক বলেন, ‘অনেকেই বিশ্বাস করেন না এই কথাটি। আমি সেদিন লোনাওয়ালা হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। চলন্ত ট্রাকের সামনে চলেও গিয়েছিলাম প্রায়। মৃত্যুকে একেবারে সামনে থেকে দেখেছিলাম আমি। কিন্তু হঠাৎ করেই পরিবারের সকলের মুখ সামনে ভেসে ওঠে আর আমি সরে আসি। ওই মুহূর্তটা আমার চিরকাল মনে থাকবে।’
আরও পড়ুন: ‘কাজ পাব তো?’ কেরিয়ারের শুরুতে উচ্চতা নিয়ে কেন সংশয় তৈরি হয়েছিল আমিরের মনে! কেন?
পরিচালক বলে চলেন, ‘যারা আমাকে চেনেন তাঁরা হয়তো অবাক হয়ে যাবেন এই কথা শুনে। আমার জীবনে এমন ঘটনাও ঘটেছিল। তবে ওই ঘটনার পর থেকে আমি ব্যর্থতাকে গ্রহণ করতে শিখেছিলাম। আমার মনে হয় যুদ্ধ করে যাওয়া উচিত। হয় তুমি শিখবে, না হলে তুমি হারবে। আনন্দটা ফলাফল থেকে আসে না, লড়াইয়ের মধ্যে আসে।’
চলতি বছর বিধু বিনোদ চোপড়া পরিচালিত ‘জিরো সে’ রিস্টার্ট সিনেমাটি একটি ফ্লপ সিনেমা হিসেবে প্রমাণিত হয়। সিনেমাটি ফ্লপ হলেও আগের মত ভেঙে পড়েন নি পরিচালক। সত্যিকে গ্রহণ করার শক্তি অর্জন করেছেন তিনি। সিনেমাটি যে দর্শকরা একেবারেই দেখেননি, তা সর্বসমক্ষে হাসিমুখেই স্বীকার করতে দেখা যায় পরিচালককে।