২২ এপ্রিল, ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরই ভূ-স্বর্গেের ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। পর্যটকে ভরা কাশ্মীর হঠাৎ করেই যেন পর্যটক শূন্য। এই মুহূর্তে অল্পবিস্তর কিছু পর্যটকই সেখানে রয়েছেন। এদিকে পহেলগাঁও-তে জঙ্গি হামলার পর সকলেই যখন আতঙ্কে কাশ্মীরের থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন, ঠিক তখনই সেখানে পৌঁছে যান অভিনেতা অতুল কুলকার্নি। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘কাশ্মীর আমাদের, এটা আমার দেশ, আমাদের এখানে আসতেই হবে।’
এদিকে অতুল কুলকার্নির সোশযাল মিডিয়া পোস্ট দেখে কাশ্মীর যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন বাঙালি নাট্যকর্মী মধুরিমা গোস্বামীও। খানিকটা আক্ষেপের সুরে আনন্দবাজারকে তিনি বলেন, ‘ইস্, যদি পয়সা থাকত তা হলে আজই চলে যেতাম’।
এদিকে জঙ্গি হামলার পর পহেলগাঁও পৌঁছে একের পর এক পোস্ট করে চলেছেন অতুল কুলকার্নি। একটি পোস্টে অতুল লেখেন, ‘এটা হিন্দুস্তানের সম্পত্তি। ভয়ের চেয়ে সাহস অনেক বড়/এটা হিন্দুস্তানের সম্পত্তি, ঘৃণা ভালোবাসার কাছে হেয়ে যায়, চলো কাশ্মীর যাই।/ চলো সিন্ধু আর ঝিলামের তীরে যাই। আমি এসেছি, তুমিও আসতে পারো।’
আবার নিজের ইনস্টাস্টোরিতেও মুম্বই থেকে কাশ্মীরগামী ফাঁকা বিমানের ছবি পোস্ট করে অতুল লেখেন, ‘এই আসনগুলিকে আবারও ভরিয়ে তুলতে হবে, নচেৎ সন্ত্রাসবাদ জিতে যাবে।
ভূস্বর্গে বসে ANI-কে অতুল বলেন, যে তিনি দেশবাসীর কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানোর জন্যই কাশ্মীর বেড়াতে গিয়েছেন। তিনি মানুষকে বলতে চান, কাশ্মীরে আসতে তাঁরা যেন ভয় না পান। অতুল কুলকার্নির কথায়, '২২শে এপ্রিলের ঘটনার পর পুরো দেশবাসীর মন খারাপ... আমি সংবাদমাধ্যমে পড়েছি যে এখানে ৯০% বুকিং বাতিল করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা যে বার্তা দিতে চাইছিল, তা হল যেন কাশ্মীরে কেউ না আসে। তবে এটা হবে না। এটা আমাদের কাশ্মীর, আমাদের দেশ, এবং আমরা এখানে আসব। সন্ত্রাসীদের মতাদর্শের প্রতি আমাদের এই উত্তরই দেওয়া উচিত। আমি মুম্বইতে থেকে এই বার্তা দিতে পারিনি, তাই আমি এখানে এসেছি। যদি আমি আসতে পারি, তাহলে দেশের বাকি লোকজনও এখানে আসতে পারবেন... আমাদের এখানে আসা উচিত এবং ভয় পাওয়া উচিত নয়।''
গত রবিবার সকালে, অতুল কুলকার্নি পহেলগাঁও থেকে যে ছবিগুলি শেয়ার করেছেন, যেখানে ভিড় থাকে সাধারণত পর্যটকদের। তবে এই মুহূর্তে তাঁর পিছনে খুব কম পর্যটককেই দেখা যাচ্ছে।