মঙ্গলবার নেটিজেনদের ‘সততা’র পাঠ পড়ালেন আলিয়া ভাট। অভিনেত্রীর এহেন পোস্ট দেখে বেশ চমকেই গেল নেট-নাগরিকরা। কার দিকে ইঙ্গিত করলেন রাহার মা?
আলিয়া ব্র্যান্ডেন কলিন্সওয়ার্থের ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে ফুটবল কোচ টনি ডাঙ্গির একটি উদ্ধৃতি পুনরায় পোস্ট করেছেন। যেখানে লেখা, ‘যখন কেউ তোমাকে দেখছে না, তুমি যা করো, সেটাই তোমার সততা। এটা হল সবসময় সঠিক কাজ করা। সেটা যদি তোমার পক্ষে প্রতিকূল হয় তাহলেও। এটা তোমার মধ্যে থাকা একটা কম্পাস। একটা রাডার যা তোমাকে নির্দিষ্ট পথে নিয়ে চলে, তোমার চারপাশের সবকিছু তোমাকে অন্যদিকে নিয়ে চলতে চাইলেও। অনেকে আবার মনে করেন, আপনার খ্যাতিই হল আপনার সততা। তবে দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। আপনার খ্যাতি হল মানুষের মনে আপনার সততাকে নিয়ে থাকা উপলব্ধি। কারণ এটা হল অন্য লোকেদের ধারণা আপনাকে নিয়ে। সেটা সঠিক হতেও পারে, আবার নাও পারে। অন্যরা তোমার খ্যাতিকে নির্ধারণ করতে পারে, কিন্তু সতটা নির্ধারণ করা তোমার হাতে।’
আরও পড়ুন: ভাই-বোন থেকে হন স্বামী-স্ত্রী! ঠোঁটে ঠোঁট রেখে প্রেম সাগরে ডুব সুদীপ-অনিন্দিতার
আরও পড়ুন: কেউ পিঠাপিঠি, তো কারও বয়সের ফারাক ২৭, দেখুন কোন টলিউড জুটি প্রথম খাবে জামাইষষ্ঠী
প্রসঙ্গত, এই পোস্ট এল কঙ্গনাকে চড় মারার ঘটনার প্রতিবাদ করে এক সংবাদিকের বক্তব্যকে লাইক করার পরেই। সাংবাদিক ফায়ে ডি'সুজা সম্প্রতি কঙ্গনা এবং সিআইএসএফ কনস্টেবল জড়িত চড়ের কাণ্ডের নিন্দা করে একটি পোস্ট লিখেছিলেন। যাতে লেখা হয়েছিল, ‘এয়ারপোর্টে সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতকে থাপ্পড় মারার ঘটনা- সহিংসতা কখনোই উত্তর হতে পারে না। বিশেষ করে গান্ধীর অহিংসার আদর্শ থেকে জন্ম নেওয়া আমাদের দেশে তো নয়ই। আমরা কারও দ্বারা তৈরি মতামত এবং বিবৃতিগুলির সঙ্গে কতটা দ্বিমত পোষণ করছি তা বিবেচ্য নয়, আমরা কখনোই সহিংসতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি না এবং আমাদের এটিকে ক্ষমা করা উচিত নয়। এটি বিশেষত বিপজ্জনক যখন নিরাপত্তা কর্মীর ইউনিফর্ম পরে কেউ হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখায়।’
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ‘বিদায়’ লেখেন সোমবার দুপুরে, ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই বড় পদক্ষেপ ঝিলমের
যদিও বিগত কয়েকবছরে আলিয়াকে সমালোচনা করার কোনও সুযোগই ছাড়েননি কঙ্গনা। তাঁকে ও রণবীর কাপুরকে নিয়ে কটাক্ষে ভরা পোস্টে সোশ্যাল মিডিয়া ভরিয়েছেন বিজেপির সাংসদ। তবে আলিয়ার ব্যবহার থেকেই স্পষ্ট, সত্যের পথে হাঁটতে তিনি পিছ পা হন না। তাতে সামনের মানুষটা যতই তাঁকে কষ্ট দিয়ে থাকুক না কেন!