সোমবার দুপুরের দিকে সকলকে চমকে দিয়ে ‘বিদায়’ লেখেন ফেসবুকে ইউটিউবার ঝিলম গুপ্ত। তিনি জানান, ফেসবুকে তাঁর ভিডিয়ো আর আগের মতো লোকের কাছে পৌঁছচ্ছে না। আর ভিডিয়োতে ভিউজ যথাযথভাবে না হওয়ায়, তিনি কাজ করার উৎসাহও পাচ্ছেন না। ফলে পুরোপুরি বন্ধ করে দেবেন ভিডিয়ো বানানো।
এই ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রীতিমতো তুলকালাম হয় সামাজিক মাধ্যম। সমাজ সচেতনাতার বিষয়, হাস্যরস মাখানো কনটেন্টের মাধ্যমে তুলে ধরা ঝিলমের কথা শুনে যেন নিজেদের চোখ-কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তাঁর অনুরাগীরা। অনেকেই যেমন তাঁকে, এরকম সিদ্ধান্ত না নিতে অনুরোধ করেন। কিংবা বোঝান, ফেসবুকের রিচ কম থাকায় অনেকেই এই সমস্যায় পড়ছেন, তেমনই কারও কারও ট্রোলেরও শিকার হন তিনি। অনেকেই বোধ করেন, বুঝি বা ফেসবুকের রিচ বাড়াতে এমনটা পোস্ট করেছেন ঝিলম।
আরও পড়ুন: এ কোন সাজে শ্বেতা-রুবেল! যেন রাজা-রানি দুজনে, মুগ্ধ অনুরাগীরা, নতুন সিরিয়াল নাকি
এখন দেখা যাচ্ছে, ভিডিয়ো না বানানোর যে ঘোষণা ঝিলম করেছিলেন, তা সরিয়ে নিয়েছেন ফেসবুক থেকে। আপাতত তাঁর প্রোফাইলে করা শেষ পোস্টটি ৯ তারিখের। যা বানানো হয়েছিল নিট স্ক্যামকে ঘিরে। তাহলে কি, নেট-নাগরিকদের অভিযোগই সত্যি! প্রোফাইলের রিচ বাড়াতেই এমনটা করেছিলেন তিনি? যাতে বেশি করে লাইক, কমেন্ট শেয়ার হয়? নাকি, সকলের বোঝানোতে মত বদলেছেন? ফের আগের মতোই ভিডিয়ো আনবেন!
আরও পড়ুন: সম্পর্ক রাখে না মা! দীপঙ্করের মা-বাবার সঙ্গে জন্মদিন পালন অহনার, চুমু গালে
কী লিখেছিলেন ঝিলম সোমবার ফেসবুকে?
ঝিলম লেখেন, ‘বিদায়…করোনার ঢেউ আসার একটু আগে শুরু করেছিলাম শখের বশে ভিডিয়ো দেওয়া। ছোটবেলা থেকে লিখতে, মিমিক্রি করতে আর অভিনয় করতে ভালবাসতাম। সেই তিনটে ভালোবাসা ফেটে বেরিয়ে আসতে চাইলো আমার ভিডিয়োগুলোর মাধ্যমে। শেষ তিনটে বছরে আমি ছয় লাখের বেশি মানুষকে টেনে আনতে পেরেছিলাম আমার ফেসবুক পেজটায়। লোকজন হাত উপুড় করে ভালোবাসা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম বিয়ে রাখেন লুকিয়ে! মার্চে বাগদান হয় সিদ্ধার্থের সঙ্গে, কী বলছেন অদিতি?
‘কিন্তু সব কিছুর শেষ হয়। কোনও অজানা কারণে আমার ভিডিয়ো মানুষের কাছে পৌঁছতেই পারে না আর। জাস্ট হয় না। কারণ খোঁজার চেষ্টা অনেক করেছি। পারিনি। মানুষকে কমেন্টে অনুরোধ করেছি ভিডিয়ো শেয়ার করতে যাতে কোনো টেকনিকাল গ্লিচ থাকলে সেটা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায় আর রিচ শুধরে যায়। এই ভিডিয়ো ছাড়া আমার আর কিছু তো নেই। আমার ভিডিয়োগুলো আমার শক্তি ছিল। আমার আত্মসম্মান ছিল। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। সব ধ্বংস হয়ে গেল। আমি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি মানসিক ভাবে। আমার আর কিছুই নেই। কিছু দেওয়ার নেই, পাওয়ার নেই, কিচ্ছু নেই।
এখন কি কাজ করবো জানি না। ঠিক করিনি। কারণ ঠিক করার মতো মনের অবস্থা নেই। টুক টাক কিছু করে নিতে পারবো হয় তো, বা হয়তো পারবোনা।’