নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে পুরস্কার পাওয়ার পর আবেগপ্রবণ মিঠুন নানা কথা ভাগ করে নেন। মহাগুরু জানান, প্রথম জাতীয় পুরস্কার জেতার পর তাঁকে নাকি এক প্রযোজক তাঁর অফিস থেকে বের করে দেন।
মিঠুন চক্রবর্তী
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী। নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে পুরস্কার পাওয়ার পর আবেগপ্রবণ মিঠুন নানা কথা ভাগ করে নেন। মহাগুরু জানান, প্রথম জাতীয় পুরস্কার জেতার পর তাঁকে নাকি এক প্রযোজক তাঁর অফিস থেকে বের করে দেন।
মিঠুনও অকপটে এদিন তাঁর কর্মজীবনের চড়াই-উতরাইয়ের কথা ভাগ করে নেন। বিশেষ করে প্রথম জাতীয় পুরস্কার জেতার পর তিনি কতটা বদলে গিয়েছিলেন সেই গল্প ভাগ করে নেন অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমি আল পাচিনো হয়ে গিয়েছি। আমি প্রযোজকদের না করা শুরু করেছিলাম। কিন্তু বস্তবতা তখন আঘাত হানে যখন একজন প্রযোজক আমাকে তাঁর অফিস থেকে বের করে দেন। সেই দিন, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি আল পাচিনো নই। যে অহং বোধ আমার মধ্যে কাজ করছিল এদিন সেটা শেষ হয়ে যায়।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গোড়াতেই পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন অভিনেতা। এবার বর্ষীয়ান অভিনেতাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করল মোদী সরকার। দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার গ্রহণ করতে গিয়ে চোখ ছলছল নায়কের। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘এই মঞ্চে আমি আগেও তিনবার এসেছিলাম, প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর মাথাটা একটু খারাপ হয়েছিল।'
এদিন বাঙালি বাবুর বেশেই রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য অফ হোয়াইট রঙের পাঞ্জাবি আর সাদা ধুতিতে সেজে উঠেছিলেন অভিনেতা, সঙ্গে নিয়েছিলেন উত্তরীয়। হাতে চোট, সেই কারণেই প্লাস্টার হাতে মঞ্চে উঠতে সহযোগিতা নিতে হয় তাঁকে।
এদিন মিঠুন চক্রবর্তী জানান, একটা সময় তাঁর নাচকে রিজেক্ট করেছিল বলিউড। সেই ডিস্কো ডান্সের তালে আজও নাচে গোটা বিশ্ব। গায়ের রং নিয়েও কম কটাক্ষ শোনেননি তিনি। সেই প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী জানান, ‘লোকে বলত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কালো রং চলবে না। এখানে কী করছো? ফিরে যাও, রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে লোকে কালিয়া বলত? আমি ভাবতাম কী করব? ভগবানকে বলতাম কী করব এই রং তো পালটাতে পারব না? ভাবতাম যে আমি নাচতে জানি, পা দিয়ে এমন নাচব যাতে লোকে আমার গায়ের রং না দেখে, আমার পায়ের দিকে দেখে… পা থামতে দেয়নি…লোকে তখন আমার রং ভুলে গেল আমি হয়ে গেলাম সেক্সি, ডাস্কি বাঙালি বাবু…’।