কোভিডে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন তারকারাও। কখনও হাসপাতালের বেড, তো কখনও অক্সিজেন সাপ্লায়ারের নম্বর আবার কখনও প্লাজমা ব্যাঙ্কের নম্বর শেয়ার করছেন নিজেদের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে। আর সমস্যা দাঁড়াচ্ছে এখানেই। ‘যেখানে যা পাচ্ছেন শেয়ার করে’ দেওয়ার ফলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে আরও বেশি।
সম্প্রতি একটি টুইট করে সৃজিত জানান, ‘ফোন করলেই অক্সিজেন পৌঁছে দেবে কলকাতা পুলিশ।’ সঙ্গে দুটি ফোন নম্বরও দেওয়া ছিল। সৃজিত লিখেছিলেন কালোবাজারি রুখতে ও দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ কলকাতা পুলিশের। ফোন করলে গ্রিন করিডর করে বাড়ি বাড়ি অক্সিজেন পৌঁছে দেবে পুলিশ।

এরপরেই মঙ্গলবার কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে ওই তথ্যকে নাকচ করে বলা হয়েছে, ‘কিছু ভুল তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছিল যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করবে কলকাতা পুলিশ।' টুইটারে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র অক্সিজেনের ট্যাঙ্কারকে বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছতে সাহায্য করার জন্যই দু’টি হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছিল। যাতে অক্সিজেন সরবরাহকারীরা এই নম্বরে যোগাযোগ করে গ্রিন করিডরের আবেদন করতে পারেন।

যদিও কয়েকদিন ধরেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক কোভিড সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করে চলেছেন পরিচালক। তাঁর টুইটার বা ইনস্টার দেওয়ালে চোখ রাখলে দেখা যাবে, নেই কোনও অন্য পোস্ট। সরাসরি কোভিড রোগীদের সাহায্য করতে না পারলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কোভিড সংক্রান্ত নানা হেল্পলাইন নম্বর শেয়ার করে খারাপ সময়ে সকলের পাশে থাকার চেষ্টা করে চলেছেন। তাই নেট মাধ্যমে অনেকেই সৃজিতকে অনুরোধ জানিয়েছেন এবার থেকে তথ্য় শেয়ারের আগে অন্তত তা যাচাই করে নিতে। যাতে প্রয়োজনের সময় মানুষকে বিভ্রান্তির শিকার হতে না হয়।