গৌতম দেব। বিদায়ী পর্যটনমন্ত্রী। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রে তাঁর বিপক্ষে প্রার্থী ছিলেন বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায়। একসময় তৃণমূলের লড়াকু নেত্রী হিসাবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।২০১৬ সালে গৌতম দেবের হয়েই দাপিয়ে প্রচার করেছিলেন শিখা চট্টোপাধ্যা। আর ২১শের বঙ্গযুদ্ধে সেই একদা সহকর্মীর কাছেই হেরে গেলেন হেভিওয়েট গৌতম দেব। দশম রাউন্ড গণনার শেষে দেখা গিয়েছিল প্রায় ১৪ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। এরপর শেষ পর্যন্ত সেই জয়ের ধারা অনেকটাই অব্যাহত রাখেন শিখা চট্টোপাধ্যায়।কিন্তু কেন গৌতম দেবের মতো হেভিওয়েট প্রার্থী হেরে গেলেন শিখার মতো তৃণমূলস্তরে লড়াই করা মহিলার কাছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, মূলত স্থানীয় স্তরে তৃণমূলের একাধিক নেতার দুর্নীতি, মূলত জমি সংক্রান্ত দুর্নীতি, স্বজনপোষনকে ভালোভাবে নেয়নি সাধারণ মানুষ। সেই মাসুলই গুণতে হল তৃণমূলকে। গোটা বাংলা জুড়ে যখন সবুজ ঝড়, তখনও জলপাইগুড়িতে মোটের উপর বিজেপির জেতার প্রবণতা এককথায় ভালো।দেখা যাচ্ছে জলপাইগুড়ির ৭টি আসনের মধ্যে ৫টিতে ভালো ফলের দিকে এগিয়েছে বিজেপি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে তৃণমূল। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে মালবাজারে চা বাগান ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ভালো ফলের দিতে এগোচ্ছে তৃণমূল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট ছিল ৪২.৬ শতাংশ, বিজেপির ভোট ছিল ১৮.৬ শতাংশ ও সিপিএমের ছিল ১৫.৮ শতাংশ ভোট। এবার সেই ভোট কিছুটা ধরে রাখতে পারলেও বিজেপিও টক্কর দিল সমানে সমানে।