বিজেপিতে যোগ দিয়েই মমতাকে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছিলেন টলিউড অভিনেত্রী পায়েল। কখনও স্কুটি চালানো নিয়ে কটাক্ষ তো কখনও পিসি-ভাইপোকে তোলাবাজ হলে বিদ্রুপ, তবে ভোটের রেজাল্টে ডাহা ফেল করবার পরেই সুর নরম বিজেপির হেরো প্রার্থীর। বরং দিদিকে জয়ের অভিনন্দন জানাতে ভুললেন না পায়েল। বিজেপির টিকিটে একুশের বিধানসভা ভোটে বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছিলেন একদা মমতা ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত পায়েল সরকার। জনতার রায় রবিবার জানিয়ে দিয়েছে, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়! বেহালা পূর্বে তৃণমূলের রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ৩৭৪২৮ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন দেবের ‘লে ছক্কা’ নায়িকা। হার স্বীকার করে টুইটারে পায়েল লিখেছেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস ও দিদিকে জয়ের জন্য অভিনন্দন। বেহালা পূর্বের মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা দিয়েছেন গত কয়েক মাসে।এইবার তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে আমি শ্রদ্ধা জানাই’। পাশাপাশি পায়েল যোগ করেন, ‘এটা আমার জন্য সবে শুরু, আমি এই যাত্রায় আরও এগিয়ে যাব’। সুতরাং পায়েল সাফ জানিয়ে দিলেন শুরুতেই ধাক্কা খেলেও রাজনীতির ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। যদিও এদিন পায়েল টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দ্রীগ্রামে হেরে যাওয়ার প্রসঙ্গ বা বিজেপির আগের তুলনায় বাংলায় ভালো ফলাফলের কোনও উল্লেখ চোখে পড়ল না, তা দেখে ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ। পায়েল সরকার বনাম শোভন-জায়ার লড়াই নিয়ে সরগরম থেকেছে বেহালা পূর্ব কেন্দ্র। জয়ের হাসি হেসে, খুশি রত্না। সেই আনন্দ নিয়েই তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন-'আমি আগেই বলেছিলাম এক ভোটে হলেও আমিই জিতব। এই জয় মানুষের জয়, এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়'। পাশাপাশি শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, আগের বিধায়ক অকৃতজ্ঞ ছিলেন। তিনি দিদির আর্শীবাদে জিতে বিজেপি-তে চলে গিয়েছেন। মানুষের পাশে থাকেননি। আমি মানুষের সেবা করতে চাই'।