বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ভোট যত গড়িয়েছে ততই তা তীব্র আকার নিয়েছে। শীতলকুচির ঘটনা তার উজ্জ্বল উদাহরণ। এমনকী দক্ষিণ কলকাতায় ভোটের দিনও প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী বলে অভিযোগ ওঠে। এবার কাশীপুর–বেলগাছিয়া কেন্দ্রেও একই অভিযোগ উঠল। ভোট শুরুর পর থেকেই একাধিক বুথে উত্তেজনার খবর মিলেছে। অতীন ঘোষকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। কাশীপুর–বেলগাছিয়ার ২০৬ নম্বর বুথে ঢুকতে কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে আধাসেনার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। তাতে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীও বচসা করতে শুরু করে। পরে এজেন্টদের বুথের বাইরে ডেকে কথা বলেন পোড়খাওয়া এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।আজ রাজ্যের চার জেলায় ৩৫টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। অষ্টম দফায় মোতায়েন প্রায় ৭৬ হাজার আধাসেনা। বীরভূমে মোতায়েন সবচেয়ে বেশি আধাসেনা। মোতায়েন ২২ হাজার ৪০০ জওয়ান। মুর্শিদাবাদে ২১ হাজার ২০০ আধাসেনা, মালদায় ১১ হাজার আধাসেনা মোতায়েন। কলকাতা উত্তরে মোতায়েন প্রায় ৯ হাজার ৫০০ জওয়ান। কেন বুথে প্রার্থীকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অতীন ঘোষ। যার কোনও সদুত্তর দেয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী।জানা গিয়েছে, ২৩২ এবং ২৪৫ নম্বর বুথে উত্তেজনা ছড়ায় ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরেই। বিজেপি প্রার্থী শিবাজী সিংহরায়ের অভিযোগ, কাশিপুর–বেলগাছিয়া বিধাসভার রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের (প্রাইমারি) ২৩২ ২৩৫ নম্বর বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দেওয়া ও ভয় দেখানো হয়। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বিজেপির পোলিং এজেন্টদের নথিপত্র ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ। শিবাজী সিংহরায়ের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস নথি চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। বিষয়টি নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন। যদিও নথি চুরির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।