রণদীপ হুডা, যিনি কিছু মাস আগেই ‘জাত’ সিনেমায় সানি দেওলের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। অ্যাকশন হোক অথবা অন্য ধাঁচের ছবি, সব ছবিতেই নিজের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিনেতা। তবে যেহেতু তাঁর সর্বশেষ ছবিটি ছিল একটি অ্যাকশন প্যাকড ছবি, তাই সম্প্রতি অ্যাকশন সিনেমার ক্ষেত্রে বলিউডের সঙ্গে হলিউডের প্রধান পার্থক্য তিনি মেলে ধরলেন সকলের সামনে।
সম্প্রতি মিড ডে - কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রণদীপ উল্লেখ করেন, বলিউডের থেকে হলিউডের অ্যাকশন ছবি একেবারে অন্যরকম হয়। এর নেপথ্যে প্রধান কারণ হল হলিউড অভিনেতাদের দিনের পর দিন একটি বিষয়ের উপর অনুশীলন। কিন্তু বলিউডে একেবারে অন্য ভাবে অ্যাকশন ছবি তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: বিরাটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে জেনেলিয়া! ইন্টারনেটে ফাঁস ভিডিয়ো,আসল ব্যাপার কী?
আরও পড়ুন: 'জীবন আগের মতো থাকবে না...', কাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সায়ন্তিকা?
রণদীপ বলেন, ‘বলিউডে অ্যাকশন ছবিগুলি মুলত সলমন খান বা সানি দেওলের মতো তারকাদের ভিড়ে তৈরি করা হয়। ছবিগুলি এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে মনে হয় যে তারকারা যা করছেন, তা তারা বাস্তব জীবনেও করতে পারেন। অন্যদিকে ক্রিস হেমসওয়ার্থ অথবা জন সিনারের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছি আমি, যাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ আলাদা।’
বলিউডের সঙ্গে হলিউডের তুলনা টেনে অভিনেতা বলেন, ‘দুই ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল একটি বিষয়ের ওপর বারবার অনুশীলন। হলিউডের অভিনেতারা দিনের পর দিন কোরিওগ্রাফি এবং রিহার্সালের জন্য নিজেদের সময় ব্যয় করেন যাতে অ্যাকশনকে বাস্তবের মতো দেখতে লাগে।’
আরও পড়ুন: বড়দিনে মিমির সঙ্গে ঘুরে আসুন ভূতের হোটেলে, নতুন ব্যবসা নাকি? আসল ঘটনা কী?
আরও পড়ুন: মস্তিষ্কের জটিল রোগে আক্রান্ত সলমন, কী এই রোগ? কী সমস্যা হয়?
সবশেষে অভিনেতা বলেন, ‘ভারতীয় তারকাদের মতো হলিউডের তারকাদের দেবতা জ্ঞানে পূজো করা হয় না। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই তাঁরা সপ্তাহের পর সপ্তাহ একটি বিষয় নিয়ে মহড়া করেন এবং ব্যাপারটিকে বাস্তবে মতো করে তোলার চেষ্টা করেন।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ‘এক্সট্রাকশন’ ছবিতে হলিউড অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল একেবারে অন্যরকম। হলিউডের কাজ করার সুবাদেই তিনি বুঝেছেন এই দুই ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে কোথায় রয়েছে পার্থক্য।