প্রতিবাদের ভাষা ছিল তাঁর লেখনীতে। বাংলার ভাল–মন্দের সঙ্গে তিনি নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু বুধবার তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন। যাঁকে দু–দু’বার চেষ্টা করা হয়েছিল গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করানোর। কিন্তু হল না। কবি শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণের খবর শুনে এই আক্ষেপই এখন আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার আগে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। আয়োজনও করা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর বাড়ি গিয়ে ভোট নিয়ে আসার কথা ছিল কমিশনের অফিসারদের। কিন্তু তা হল না। কারণ করোনাভাইরাস তাঁর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শঙ্খবাবু। তারপর সুস্থ হলেও নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল। শঙ্খ ঘোষ কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর পৌঁছয় রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরেও। তাঁর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে নির্বাচন কমিশন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পিপিই কিট পরে একটি বিশেষ দল পাঠানো হবে কবির বাড়িতে। তাঁর মেয়েকে সেকথা জানানোও হয়েছিল। কয়েকদিন আগে ভোটগ্রহণের জন্য শঙ্খ ঘোষের বাড়িতে একটি টিম পাঠানো হয়েছিল। তখন কবি এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে ভোট না নিয়েই ওই দলকে ফিরে আসতে হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শঙ্খবাবু। তারপর সুস্থ হলেও নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল। শঙ্খ ঘোষ কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর পৌঁছয় রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরেও। তাঁর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে নির্বাচন কমিশন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পিপিই কিট পরে একটি বিশেষ দল পাঠানো হবে কবির বাড়িতে। তাঁর মেয়েকে সেকথা জানানোও হয়েছিল। কয়েকদিন আগে ভোটগ্রহণের জন্য শঙ্খ ঘোষের বাড়িতে একটি টিম পাঠানো হয়েছিল। তখন কবি এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে ভোট না নিয়েই ওই দলকে ফিরে আসতে হয়।|#+|শেষ চেষ্টা করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে। বিশেষ দল পাঠানো হয় তাঁর বাড়িতে। কিন্তু এবারও জানিয়ে দেওয়া হয়, শারীরিক পরিস্থিতি বেশ খারাপ। ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হয় ওই বিশেষ দলকে। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের এক অফিসারের কথায়, ‘আজ আমরা এই আলোচনাই করছিলাম। সব চেষ্টাই করা হয়েছিল। কিন্তু কবিকে ভোট দেওয়ানো গেল না। দু’বারই ওই বিশেষ দলকে ফিরে আসতে হয়। এটাই আক্ষেপের এবং দুঃখের।’