বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > Meghalaya and Nagaland Elections 2023: ধর্মীয় পরিচয়ের লড়াই, ‘গোঁজ’ তৃণমূল - সোমবার ভোটগ্রহণ মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে
পরবর্তী খবর
Meghalaya and Nagaland Elections 2023: ধর্মীয় পরিচয়ের লড়াই, ‘গোঁজ’ তৃণমূল - সোমবার ভোটগ্রহণ মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 27 Feb 2023, 12:55 AM ISTAyan Das
Meghalaya and Nagaland Assembly Elections 2023: সোমবার মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে বিধানসভা ভোট হবে। দুটি রাজ্যেই মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৬০ টি হলেও সোমবার ৫৯ টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। মেঘালয়ে লড়াইয়ে আছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (পিপিপি), বিজেপি, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দল। আবার নাগাল্যান্ডে লড়াই হবে নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ), ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (এনডিপিপি), বিজেপির মতো দল।
মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটকেন্দ্রের পথে কর্মীরা। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
রাত পোহালেই উত্তর-পূর্ব ভারতের দুই রাজ্য মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। দুটি রাজ্যেই মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৬০ টি হলেও সোমবার ৫৯ টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। মেঘালয়ে লড়াইয়ে আছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (পিপিপি), বিজেপি, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দল। আবার নাগাল্যান্ডে লড়াই হবে নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ), ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (এনডিপিপি), বিজেপির মতো দল।
৬০ আসন, তবে ৫৯ আসনে ভোট মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে
উত্তর-পূর্ব ভারতের দুটি রাজ্যে বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৬০। তবে সোমবার ৫৯ টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। নাগাল্যান্ডের আকুলুতো আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী কাজেতো কিনিমি। অন্যদিকে, মেঘালয়ে সোহিওঙ্গ আসনের ভোটগ্রহণ পিছিয়ে গিয়েছে। কারণ ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী এইচ ডি আর লিংডো প্রয়াত হয়েছেন।
মেঘালয়ের ভোট-লড়াই
১৯৭২ সাল থেকে বিধানসভা নির্বাচনে কখনও কোনও দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়নি মেঘালয়। সেই ধারা বজায় রেখে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত শাসক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (পিপিপি)। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ বিদ্ধ হলেও শাসক দলের দাবি, এবার এককভাবেই ৩০ পেরিয়ে যাবে।
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মতো এবার বিজেপি এবং এনপিপির জোট হয়নি। এককভাবে ৫৭ টি আসনে লড়াই করবে এনপিপি। সব আসনেই লড়াই করছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। ৫৮ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেসও। আপাতত 'খ্রিস্টান-বিরোধী' তকমা ছেড়ে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে চাইছে বিজেপি। আবার মেঘালয়ে নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে চাইছে কংগ্রেস। ২০১৮ সালের ভোটে একক বৃহত্তম দলের তকমা পাওয়ার চার বছরের মধ্যে ২১ বিধায়ককে হারিয়েছে হাত শিবির।
তবে এবার ভোটে ফ্যাক্টর হতে পারে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, এবার মেঘালয়ে বিরোধী ভোটে থাবা বসাতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (যদিও সরকার গঠনের বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল)। তার জেরে কংগ্রেসের কপাল পুড়তে পারে। যা নিয়ে কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কথার যুদ্ধ হয়েছে।
মেঘালয়ে সাংমা বনাম সাংমা
এবার মেঘালয়ে সাংমা বনাম সাংমা লড়াই হতে চলেছে। এনপিপি নেতা তথা বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে এবার তৃণমূলের মুকুল সাংমার চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে। যে দু'জনই গারো পাহাড়ের নেতা। ফলে দুই সাংমার লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ধর্মীয় পরিচয়ের লড়াই
উত্তর-পূর্ব ভারতের যে দুই রাজ্যে সোমবার ভোটগ্রহণ হতে চলেছে, সেই দুই রাজ্যেই খ্রিস্টান মানুষের সংখ্যা বেশি। সেই ধর্মীয় পরিচয় নিয়েও লড়াই শুরু হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুলের দাবি, বিজেপি ক্ষমতায় এসে ভোটারদের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা বিপন্ন হবে। আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বাস দিয়েছেন, ওরকম কোনও ঘটনা ঘটবে না। কোনও ধর্মের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে না বিজেপি।
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হয়েছিল নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ)। ৬০ টি আসনের মধ্যে ২৬ টিতে জিতেছিল। বিজেপি জিতেছিল ১২ টি আসনে। কিন্তু ভোটের আগে বিজেপি এবং এনপিএফের যে জোট তৈরি হয়েছিল, তা ভেঙে পড়েছিল। পরিবর্তে ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (এনডিপিপি) সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছিল। ১৭ টি আসনে জিতেছিল এনডিপিপি।
এবারও জোট বেঁধে লড়াই করছে এনডিপিপি এবং বিজেপি। আঞ্চলিক দলের ৪০ টি আসন এবং বিজেপির ২০ টি আসনের ফর্মুলায় লড়াই করছে। ২৩ টি আসনে লড়ছে কংগ্রেস। ২২ টি আসনে লড়ছে এনপিএফ। ১৫ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)। সবমিলিয়ে ১৮৩ জন প্রার্থীর ভাগ্যনির্ধারণ হবে।