লোকসভা ভোটের রণদামামা বেজে গিয়েছে। চৈত্রের গরম বেড়ে চলার সঙ্গেই রাজনৈতিক পারদও পুরোদমে চড়ছে। এদিকে, কিছুদিন আগে কপালে আঘাত পেয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য তাঁকে কপালে ব্যান্ডেজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, পার্ক সার্কাসের ইফতার পার্টিতে, তার আগে গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনাস্থলেও ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় দিদিকে দেখা যায়। এবার খবর, তৃণমূলের প্রচারে ঝড় তুলতে এপ্রিল থেকেই রয়েছে মমতার ঠাসা কর্মসূচি। তার আগে ৩১ মার্চ কৃষ্ণনগরে হাইভোল্টেজ সভা রয়েছে মমতার। চোট লেগে আহত হওয়ার পর বাংলার অগ্নিকন্যা মমতাকে প্রচার সভায় ফের চেনা মেজাজে দেখার অপেক্ষায় দল।
মার্চের শেষ দিন ৩১ তারিখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের হয়ে প্রচার সভায় থাকবেন তিনি। প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী সেখানে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রাজবধূ অমৃতা রায়। এদিকে, রাজনীতিতে কার্যত নবাগতা অমৃতা রায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের হেভিওয়েট মহুয়া মৈত্রের এই লড়াই কতটা হাড্ডাহাড্ডি হয়, সেদিকে তাকিয়ে বাংলা। এই প্রেক্ষাপটে ৩১ মার্চ মমতার সভা নদিয়ার রাজনীতিতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের প্রার্থী তথা বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রচারে মমতা ধুবুলিয়ার মাঠে ৩১ মার্চ সভা করবেন।
এদিকে, এপ্রিল থেকে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে মমতার। নববর্ষের আগেই এপ্রিলের শুরু থেকে পর পর সভা রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। উল্লেখ্য, ২০২৪ লোকসভা ভোট শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল থেকে। শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ভোট রয়েছে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে। তার আগে, ৩ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারে উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা যাচ্ছেন বলে খবর। উত্তরবঙ্গ সফরে ৪ দিন ধরে প্রচার চালাবেন মমতা। ৪ এপ্রিল সভা রয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে, ৫ এপ্রিল সভা রয়েছে জলপাইগুড়িতে। ৬ এপ্রিল মমতা যাচ্ছেন রায়গঞ্জ, বালুরঘাটে। এরপর সেদিনই ফিরে আসবেন কলকাতায়। এরপর রয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভোট প্রচার। প্রসঙ্গত, ২৫ মে ভোট রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায়। তার আগে, ৭ এপ্রিল মমতার সভা বাঁকুড়ায়, ৮ এপ্রিল মমতার সভা রয়েছে পুরুলিয়ায়। প্রসঙ্গত, এর আগে ১৪ মার্চ নিজের বাড়িতে পড়ে যান মমতা। আহত হওয়ার পর ৫ দিনের মাথায় ১৯ মার্চ নবান্নে তিনি ফের কাজে যোগ দেন।