হুগলিতে তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দিদি নম্বর ওয়ানকে দেখতেই চারপাশ থেকে লোকজন বেরিয়ে পড়ছেন। আর সেই রচনার পাশেই এমন এক তৃণমূল কর্মীকে দেখা যাচ্ছে যাঁকে দেখার জন্যও লোকজনের আগ্রহ কম কিছু নয়। তিনি যে বিরাট সেলিব্রিটি তেমন কিছু নন। তবে তাঁর শরীরের সোনার অলঙ্কারের বহর তাঁকে রাতারাতি একেবারে বিখ্যাত করে তুলেছে।নাম সুনীল দাস। ডাক নাম লঙ্কা রাজা। আর তার শরীর জুড়ে একেবারে ভারী ভারী সোনার অলঙ্কার। কত ভরি সোনার গয়না সেটা তিনি নিজেও বলতে পারেন না। দেখলেই চমকে যাবেন।
তিনি লঙ্কা রাজা। এই নামেই তাঁকে চেনেন এলাকার লোকজন। গলায় একাধিক সোনার চেন। শিব-কালি, বজরংবলি, গণেশের ভারী ভারী সব লকেট। নানা ধরনের ব্রেসলেট দুই হাতে। সব আঙুলেই আংটি। একেবারে ঝলমল করছে। আর কত ভরির গয়না তিনি পরেছেন সেটা নিজেও ঠিকঠাক বলতে পারেন না।
কী করেন তিনি? লঙ্কারাজা বলেন, চাষবাস আর স্টকের ব্যবসা। জমি কেনাবেচাও করেন বলে খবর। বাড়ি সুগন্ধার কামদেবপুর গ্রামে। একেবারে রাজা রাজা ব্যাপার। বুলেট নিয়ে চক্কর কাটেন। কালো জামা। সামনের কয়েকটা বোতাম খোলা। সেখান থেকে ঝলমল করছে সোনার চেন।
লোকজন প্রচার দেখবে কী, রচনার কথা শুনবেন কী! তৃণমূল কর্মীর সোনার বহর দেখার জন্য বাসিন্দাদের উৎসাহ একেবারে তুঙ্গে। দাদার হাতে একাধিক বালা। গোল্ডেন ঘড়িও রয়েছে। ওই তৃণমূল কর্মী জানিয়েছেন, ঘড়িতেও একটু সোনা আছে।
গয়না পরে দাদা আনন্দে একটু নেচেও নেন। তবে শখ বলিহারি! এত গয়না পরে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। তিনি মা মাটি মানুষের কর্মী। অনেকের মতে যে দলের নেত্রী টালির চালায় থাকেন, সেই দলের কর্মীর গায়ে একেবারে ভর্তি গয়না। তবে কর্মীর গলায় এত গয়না দেখে স্বাভাবিকভাবে অস্বস্তি বেড়েছে দলের একাংশের। ঠিক যেন বাপ্পী লাহিড়ি। অথবা দুবাইয়ের শেখরা এমন সোনার চেন পরেন। কিন্তু হুগলিতে যে এমন ছবি দেখা যাবে তা আগে ভাবা যায়নি।
কিন্তু এত গয়না পরে ভয় করে না?
তিনি বলেন, আমার শখ। কত সোনা আছে মাপা নেই। শিব, তারা মা, বজরংবলির যেভাবে লোক ভালো বাসে। কেউ যদি নিয়ে যায় তবে আবার দিয়ে যাবে। আমি তো অন্যায় করিনি। স্টকের ব্যবসা করি। ব্যবসা করি আমি…