বসিরহাটের হাড়োয়ায় প্রচারসভা থেকে নিজের দলের বিধায়ককে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল ও তাঁর স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলকে কার্যত সতর্ক করে দিয়ে দলনেত্রী জানিয়ে দেন, ‘ক্ষমা না চাইলে’ তাঁদের কোনও জায়গা নেই দলে।
শনিবার বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নরুল ইসলামের হয়ে প্রচারসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাঁর সভায় পৌঁছেতে বেশ ক্ষাণিকক্ষণ দেরি হয়। গাড়ি থেকে তিনি ফোনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে তিনি সভায় এসে পৌঁছান। সেই আবার স্বল্প সময়ের জন্য বক্তব্য রাখেন। সভায় পৌঁছে তিনি বলেন, ‘মা, বোনেদের শুভেচ্ছা, দোয়া, আশীর্বাদ ছিল বলেই এই দুর্যোগের মধ্যেও আসতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন। 'নন্দীগ্রামে ফের গুন্ডামি, ছাড়ব না, রাজনৈতিক বদলা নেবই,' ফুঁসছেন মমতা
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিনাখাঁর বিধায়কের প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। এদিনের সভায় তাঁর না আসা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল নেত্রী। বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল এবং তাঁর স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিজেপিরে সঙ্গে ঘনিষ্ঠতারও অভিযোগ তোলেন তিনি।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘তৃণমূলের এমএলএ থাকবেন কিন্তু মিটিংয়ে আসবেন না, তা চলবে না। যতক্ষণ ক্ষমা না চাইবে। ক্ষমা চেয়ে পায়ে না ধরবে, তত ক্ষণ ঊষারানি মণ্ডলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আপনাদের মতো লোক চাই না। আপনি স্বামীকে নিয়ে দলটাকে বেচে দেবেন? এটা মানবো না।’
আরও পড়ুন। ভোট নয়, পাগলু ডান্স হয়েছে, কেশপুরে পুনর্নির্বাচন চাইলেন হিরণ
আর পড়ুন। জবাব দিলাম!’ ভোট দিয়ে, চোখের জল মুছে বললেন নন্দীগ্রামের রথিবালার মেয়ে
এদিন বিধায়ককে বাদ দিয়ে আলাদা ‘টিম’ তৈরির করার কথাও বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতা তৈরি করে। এক নেতা যাবে, লক্ষ নেতা জন্মাবে। নতুন টিম তৈরি করো। ব্লকে যারা আছে, জেলায় যারা আছে তাদের নিয়ে।’
এদিন মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করেন মমতা। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘আরও দশ দিন সময় আছে, এখনই বিদায় নিলে ভাল হয়।’
আর পড়ুন। গৃহবধূর স্তনে জলের বোতল রাখার অভিযোগ, ডেবরায় শ্লীলতাহানিকাণ্ডে নাম জড়াল জওয়ানের