বিহু উৎসবের জন্য অসমকে ছাড় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফলে দেদার টাকা সেখানে খরচ করা হচ্ছে। অথচ জলপাইগুড়িতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনের বাড়ি তৈরি করে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার, তার অনুমতি নির্বাচন কমিশন দিচ্ছে না। এমনই অভিযোগ রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে তুলে সোচ্চার হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জলপাইগুড়ির ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি মেরামতি নিয়েও নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আজ, বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনেই ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি মেরামতির টাকা পাঠাল নবান্ন বলে সূত্রের খবর। তাতে ওখানে খুশির হাওয়া।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে, ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় এখন আদর্শ আচরণবিধি চলছে। তাই রাজ্য এখন নতুন বাড়ি তৈরি করে দিতে চাইলে সেটা পারবে না। তবে বাড়ি মেরামতির জন্য আর্থিক সাহায্য করতে পারে রাজ্য সরকার। এই ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির জন্য ৫ হাজার এবং খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে পারবে বাংলার সরকার। এই মর্মে নবান্নে চিঠি এসেছে নির্বাচন কমিশনের তরফে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশ, বৈঠকে নির্বাচন কমিশন
অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলি যাতে একটু স্বস্তি পায় সেই অনুমতি চাইতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদরা নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর নয়াদিল্লিতে যান। সেখানে সাড়া না পেয়ে অফিসের বাইরে ধরনায় বসেন। তখন তাঁদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়। এরপরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে সোচ্চার হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ পাওয়ার পরই আজ বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, ক্ষতিগ্রস্ত ৬৩২ পরিবারের মধ্যে ৪৪০ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আজই ২০ হাজার টাকা করে পৌঁছে গিয়েছে। বাকিদের অ্যাকাউন্টেও দ্রুত টাকা পৌঁছে যাবে।