সিএএ ইস্যুকে সামনে রেখে বাজিমাত করতে চেয়েছিল বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশজুড়ে চালু করা হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ। কিন্তু দেখা গেল, এতে মানুষ ক্ষেপে উঠেছে। আবার বাংলা–সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে জোর বিরোধিতা শুরু হয়েছে। বাংলার মানুষজনও খুব ভালভাবে এটা মেনে নিয়েছেন তা নয়। এই পরিস্থিতিতে এবার বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে চাইছে বিজেপি। অর্থাৎ প্রচারে সিএএ নিয়ে আসা যাবে না। এটা ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে। সেক্ষেত্রে মতুয়া ভোট তো যাবেই উলটে সাধারণ মানুষের ভোটব্যাঙ্কেও ধস নামবে। সুতরাং এখন ইস্যু বদল করা প্রয়োজন।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই ব্যাপক প্রচারে নেমে পড়ে বিজেপি। যদিও প্রার্থী তালিকা নিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাদের। এখনও চারটি আসনে প্রার্থী দেওয়া বাকি। এই আবহে সিএএ নিয়ে মাতামাতি করতে দেখা যাচ্ছে না আর। বরং ইস্যু বদল করে এখন দুটি বিষয়কে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। এক, সন্দেশখালি। দুই, দুর্নীতি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এটা নিয়ে ভাবিত নয়। কারণ সন্দেশখালিকে সামনে রেখে বিজেপি যাঁকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে তাঁর তথ্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এখন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে নানা কথা বলছেন রেখা পাত্র। আর দুর্নীতির কথা বলে গ্রেফতার করা হলেও সেগুলি এখনও আদালতে প্রমাণ হয়নি।
আরও পড়ুন: তিপ্রা মোথার সঙ্গে বিজেপির জোট থাকবে ২০২৮ পর্যন্ত, লোকসভা নির্বাচনে বড় সমীকরণ
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদার সিএএ নিয়ে এখন কোনও কথা বলছেন না। বরং সন্দেশখালি এবং দুর্নীতি ইস্যুকে সামনে রেখে লড়ে যাচ্ছেন। তার উপর প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন রাজবাড়ির বধূকে। যিনি কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। অমৃতা রায়। তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময়ও সিএএ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। দু’পক্ষের মধ্যে কী কথা হয়েছে সেটা নিজেই তুলে ধরেছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবল বিরোধিতায় সিএএ এখন ঠাণ্ডা ঘরেই প্রবেশ করেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই বিরোধিতা করেছিলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদও।