নির্বাচন কমিশন শোকজ করেছিল। বিজেপি সেন্সর করেছিল। তার পরেও তাঁর মুখে লাগাম পরানো যায়নি। বরং দিনের পর দিন আরও লাগামহীন ভাষা ব্যবহার করছেন তিনি। আর তা ভালভাবে নিচ্ছেন না বাংলার মানুষ। কিন্তু এতকিছুর পরও বিতর্ক তৈরি হয়েই চলেছে তাঁর কথায়। এখন তিনি বিজেপি প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্ধমান– দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। হ্যাঁ, তিনি দিলীপ ঘোষ। আজ, মঙ্গলবার সকালে বর্ধমানের বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাকে পাশে বসিয়েই চা চক্রে সামিল হলেন। বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। যদিও দিলীপ ঘোষের সাফাই, এটা দিলীপ ঘোষের প্রোগ্রাম। এখানে সবাই আছে। এখানেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন দিলীপ তাতে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
এদিকে আগেও দিলীপ ঘোষ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে গিয়েছেন। তাতে ফল ভাল হয়নি। নির্বাচন কমিশনকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি। এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন। যে বিজেপি নেতাকে নিয়ে বিতর্ক সেই বহিস্কৃত নেতা শ্যামল রায় অবশ্য বলেন, ‘আমি বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত। কিন্তু দিলীপ ঘোষের থেকে তিনি বহিষ্কৃত নই। আমি আগেই বলেছিলাম যে আমি দলের নীতি আদর্শের সঙ্গে আছি কোন নেতার সঙ্গে নয়। আমি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কাঠবিড়ালির মতো থাকতে চাই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিট স্ট্রোকে একদিনে ১৭ জনের মৃত্যু, রেকর্ড মৃত্যুর সংখ্যায় তুমুল আলোড়ন
অন্যদিকে দল যাঁকে বহিষ্কার করেছে তাঁকে পাশে বসিয়ে চা চক্র করার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপিতে। এই বিতর্কের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কটূ কথা বলে আরও তুঙ্গে তুললেন বিতর্ককে। উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর ভোটারদের শাসানো নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা সমাজবিরোধী তাঁরা এখন নেতা হয়েছে। জনতা এসব গুণ্ডাদের হারাবে। জনগনের মধ্যে আতঙ্ক কেটে গিয়েছে। এবার জনতা লাইনে দাঁড়াবে আর দমাদম ভোট দেবে। ভোটের পর এরা জেলে যাবে।’ শাহজাহান নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘শাহজাহানের মতো নেতাদের উপর টিএমসি দাঁড়িয়ে আছে। আদালত, সিবিআই, ইডি এই সমস্ত পিলারদের ধরছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এরপর ভিখারির দশা হবে। শাহজাহানদের টাকা শুধু মন্ত্রী নয়, কালীঘাট পর্যন্ত গিয়েছে।’