লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এবার বড় অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী। রাত পোহালেই পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ–পর্ব শুরু হয়ে যাবে। সুতরাং এখন টানটান প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র। এই আবহে লোকসভা নির্বাচনের কাজে পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। যদিও এই অভিযোগের সপক্ষে কোনও প্রামাণ্য নথি তিনি দেখাননি। তবে তাঁর অভিযোগ, হাওড়া পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ডিসিআরসি কন্ট্রোল রুমে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে চরম ব্যস্ততা দেখা দিয়েছে হাওড়ার বিভিন্ন ডিসিআরসি কেন্দ্রে। সকাল থেকেই সেখানে হাজির হতে শুরু করেছেন পুলিশ ও ভোটকর্মীরা। তাঁদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের জন্য মোট পাঁচটি ডিসিআরসি কেন্দ্র গঠন করা হয়েছে। এখান থেকেই ভিভি প্যাড, ইভিএম এবং অন্যান্য ভোটের সামগ্রী নিয়ে তাঁরা রওনা দিচ্ছেন হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে। সরকারি তথ্য অনুসারে, এবারে হাওড়া সদর কেন্দ্রে মোট ৭৯০টি জায়গায় ১৮৯৫টি বুথ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩২২টি বুথ মহিলা পরিচালিত। একই সঙ্গে প্রত্যেক বিধানসভায় একটি করে মোট সাতটি মডেল বুথ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি বুথেই থাকছে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গি নিকেশ করা জওয়ানরা আসছে বাংলায়, লোকসভা নির্বাচনে আরও কড়া নির্বাচন কমিশন
অন্যদিকে এই প্রস্তুতি পর্ব চলাকালীন বিজেপি প্রার্থীর এমন অভিযোগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাহলে কি তিনি ভয় পাচ্ছেন? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। কারণ সবটাই নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে হচ্ছে। এই বিষয়ে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘চুক্তিভিত্তিক কোনও কর্মচারীকে ভোটের কাজে লাগানো যাবে না বলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা রয়েছে। অথচ হাওড়ার কয়েকটি ডিসিআরসি কন্ট্রোল রুমে হাওড়া পুরসভার চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এভাবে ভোট হলে সেটা অবৈধ এবং অনৈতিক নির্বাচন হবে।’