দোরগোড়ায় ভোট। আর সেই সময়ই বিজেপির কোন্দল একেবারে তুঙ্গে। আসানসোলে বিজেপি প্রার্থীর উপস্থিতিতেই শুরু হয়ে গেল হাতাহাতি, চিৎকার। টেবিল, চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি। সেই সঙ্গেই টেবিলের উপরেও উঠে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। কার্যত তুমুল গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। এদিকে ভোটের মুখে যখন কর্মীরা একতাবদ্ধ থাকবেন তখনই দেখা গেল একেবারে অন্য়রকম চিত্র। সেখানে দুই গোষ্ঠীর লোকজন মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। একেবারে গেরুয়া উত্তরীয় গায়ে জড়িয়ে মারপিট চরমে। শেষ পর্যন্ত প্রার্থী এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কেন এই দ্বন্দ্ব? সূত্রের খবর, আসানসোলের বারাবনিতে এসএস আলুওয়ালিয়ার উপস্থিতিতেই শুরু হল তাণ্ডব। বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে তুমুল মারপিট। একসময়ে কয়েকজন টেবিলেও উঠে পড়েন। তবে প্রার্থী অবশ্য় বিষয়টি স্বীকার করেননি। এদিকে গত ১৩ এপ্রিলও তিনি বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। তার উপস্থিতিতেবারাবনী ও আসানসোলের গ্রুপের মধ্য়ে এই মারপিট। আসানসোলের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তারা তৃণমূলের হাতে মার খেয়েছেন। কিন্তু তাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কার্যত আদি নব্য লড়াই এবার বিজেপির অন্দরে। চেয়ার টেবিল ছোঁড়া ছুড়ি শুরু হয়ে যায়। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে আসরে নামেন খোদ প্রার্থী। তিনি সকলের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন। তারপরই বিক্ষোভ মেটে। প্রার্থী বলেন, কোনও মারপিট হয়নি। মানুষের উৎসাহ বেশি হয়ে গিয়েছে। বেশি ভিড় হয়ে গিয়েছে। যত চেয়ার ছিল তার থেকে বেশি লোক হয়ে গিয়েছে। কোনও মারপিট হয়নি। বিজেপি এক রয়েছে। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ নিয়ে আমাদের মন্ত্র। সেটা নিয়ে গোটা বিশ্ব চলছে। আমাদের বারাবনীও চলছে। কোথাও কোনও মারপিট বা গন্ডগোল হয়নি। যত চেয়ার ছিল তার থেকে বেশি লোকজন এসে গিয়েছিল। চেয়ার নিয়ে সেকারণে কাড়াকাড়ি হয়েছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একে তো আসনসোল আসনকে কেন্দ্র করে গোড়া থেকেই নানা গন্ডগোল। এবার একেবারে মারপিটও শুরু হয়ে গেল। তবে শেষ পর্যন্ত প্রার্থীর উপস্থিতিতে কিছুটা হলেও সমস্যা মেটে। এদিকে এবারই প্রথম নয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসানসোলে এবার মাঝেমধ্য়েই বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে সংঘর্ষ একেবারে চরমে উঠেছে। কীভাবে তাদেরকে একজোট করে ফের ভোটের ময়দানে নামানো যায় সেটাই এখন চিন্তার। সব মিলিয়ে এদিনের ঘটনা আরও চিন্তা বাড়িয়ে দিল গেরুয়া শিবিরের।