বিজেপি প্রার্থীর কনভয় লক্ষ্য করে চালানো হল গুলি, ছোড়া হল পাথর। ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী অক্ষত থাকলেও দলের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পাটনা জেলায়। শনিবার সন্ধ্যায় ভোট শেষ হওয়ার পর বিজেপি সাংসদ তথা পাটলিপুত্র আসনের প্রার্থী রাম কৃপাল যাদব একজন আহত শ্রমিককে দেখতে মাসৌড়িতে যাচ্ছিলেন। তখনই দুই দুষ্কৃতী তাঁর কনভয়ে হামলা চালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিহারের রাজনীতিতে। গুলি চালানোর পরপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: 2024-বিহারে কিছু আসন কমতে পারে এনডিএ-র, ইঙ্গিত এক্সিট পোলে
এদিনের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। দলের ওবিসি মোর্চার জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ডঃ নিখিল আনন্দ রাম কৃপাল যাদবের উপর হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, রাজনীতিতে আদর্শগত পার্থক্য গ্রহণযোগ্য হলেও, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার জন্য এই ধরনের হিংসাত্মক পদক্ষেপ সম্পূর্ণ নিন্দনীয়। এই ঘটনায় তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পাটনার (ইস্ট সিটি) পুলিশ সুপার ভারত সোনি এবিষয়ে জানান, পাটনা-জেহানাবাদ সড়কের পাশে তিনেরি গ্রামের কাছে রাম কৃপাল যাদবের কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়েছে। যার ফলে দুজন কর্মী আহত হয়েছেন। এই ঘটনা রাম কৃপাল যাদব একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় ৯ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে পুলিশ অভিযান।চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই আসনে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের কন্যা তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) নেত্রী মিসা ভারতী। ২০১৪ সালে বিজেপি এবং জেডি(ইউ)-এর মধ্যে ভাঙন ধরার পরে রাম কৃপাল যাদব বিজেপিতে যোগ দেন। সেই সময় মোদী ঢেউ তুঙ্গে থাকায় তিনি নির্বাচনে মিসা ভারতীকে হারিয়ে জয়লাভ করেছিলেন। ২০১৯ সালে মিসা ভারতী আবার পাটলিপুত্রে রাম কৃপাল যাদবের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে সেবারও জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। তবে ভোটের ব্যবধান খুব বেশি ছিল না। মাত্র ৩৯ হাজার ভোটে তিনি জয়ী হয়েছিলেন।