মিজোরামে সরকার গড়তে চলছে বিরোধী আসনে থাকা জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। ৪০ টি আসনের মধ্যে ২৭ পেয়েছে তারা। ক্ষমতাসীন মিজো ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথা ছিল কিন্তু ফল বেরোনোর পর দেখা যাচ্ছে ১০টি আসন পেয়েছে শাসকদল। এই জয়ের ফলে মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন, প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক তথা জোরাম পিপলস মুভমেন্ট নেতা লালডুহোমা। ৭৪ বছর বয়সি এই কথা বললেন হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিনিধি উৎপল পরাশর। মনিপুরের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী জানালেন কর্মসূচি এবং অগ্রাধিকারের রূপরেখা। কোন বিষয়গুলো জোরাম পিপলস মুভমেন্ট (ZPM)-কে জিততে সাহায্য করেছে বলে আপনি মনে করেন ?জনগণ পরিবর্তন চায়। মিজোরামের মানুষ চায় একটি উন্নত ও দুর্নীতিমুক্ত সরকার এবং মিজোরামের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হোক। অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে, আমরাই প্রথম দল যারা এপ্রিলেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিলাম। এই সিদ্ধান্ত আমাদের প্রার্থীদের সমস্ত ভোটারের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে এবং তা আমাদের পক্ষে কাজ করেছে।ক্ষমতাসীন এমএনএফ-র পরাজয়ের ফলে আপনি কী মনে করেন?মানুষ তাদের নিয়ে খুবই হতাশ। তারা অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করতে পারেনি। এমএনএফ-এর ক্ষতির প্রধান কারণ ছিল মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। এমনটা নয় যে পার্টিটাই খারাপ। কিন্তু দলটির নেতা দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও পক্ষপাতিত্বের সঙ্গে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিলেন।বিজেপি, ২টি আসন পেয়েছে, তারা বলেছে যে তারা জেডপিএম সরকারের অংশ হতে চায়। এই নিয়ে আপনার কী বক্তব্য?বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়ই নির্বাচনের শুরু থেকেই এই মিথ্যা প্রচার করে আসছে যে তারা জেডপিএম-এর সঙ্গে কিছু জোট করবে। আমাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা অবস্থায় আমি কেন বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাব? এর কোনও প্রয়োজন নেই।কংগ্রেসের হার এবং ৪র্থ স্থানে বিজেপির পিছনে নেমে যাওয়াকে আপনি কীভাবে দেখছেন?তারা আগেও রাজ্যে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল, জনগণ তাদের ওপর বিরক্ত। কংগ্রেসের পক্ষে মিজোরামে নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং পুনরুত্থিত করা বেশ কঠিন কাজ।আপনার সরকারের অগ্রাধিকার কী হবে?প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, রাজ্যের কৃষকদের সমর্থন করার জন্য, আমাদের সরকার ন্যূনতম পূর্ব-নির্ধারিত মূল্যে আদা, হলুদ, মরিচ এবং ঝাড়ু সংগ্রহ করবে। রাজ্যের আর্থিক অবস্থা বিপর্যস্ত। আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করব এবং আর্থিক সংস্কার করব। আমাদের সরকার দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে এবং সিবিআইকে এর বিরুদ্ধে কাজ করার অনুমতি দেবে। শপথ গ্রহণের পর নতুন সরকারের ফোকাসের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিকেও নির্ধারণ করা হবে।নতুন সরকারের শপথ কবে?এটা এখনো ঠিক হয়নি। আমাদের প্রথমে আমাদের দলের নেতা এবং নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমরা মঙ্গলবার আইজলে একটি সভা করব এবং যেহেতু কিছু প্রার্থী রাজধানীতে পৌঁছতে আরও সময় নিতে পারেন, আমরা বুধবার আরেকটি সভা করব। আমরা বুধবার সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারব এবং বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারে শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।