
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
West Bengal Panchayat Poll Latest Update: ভোটের দিনে প্রাণ হারালেন অন্তত ১৪ জন। দিনভর চলে দেদার ছাপ্পা। কোথাও আবার দেখা যায় ‘প্রতিরোধ’। ছাপ্পার প্রতিবাদে ব্যালটে জল ঢালা হয় বা ব্যালট বাক্সই জলে ফেলা হয়। মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়ল রাজ্যের একাধিক জেলায়। তবে ‘ভোট কেমন হল?’ এই প্রশ্নের জবাব এখনও দিতে পারল না রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
মুর্শিদাবাদ: আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে এসইউসিআইয়ের প্রার্থীর ভাইকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর স্বামী শরিফুল ইসলাম ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার স্বরূপপুর আতুর মোড় ও দাউদের মোড় এলাকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এলাকা। এসইউসিআই প্রার্থীর স্বামীর দাবি, কয়েকদিন ধরে তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় দাপাদাপি করছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন এক পুলিশকর্তা। মারাত্মক জখম হয়েছেন তিনি। হরিশ্চন্দ্রপুরে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন ডিএসপি ট্রাফিক বিপুল বন্দ্যোপাধ্যায়। পাথরের আঘাতে ফাটিয়ে দেওয়া হয় মাথা।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যালট বাক্সে কারচুপির অভিযোগে ধুন্ধুমার বাঁধল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে। বিজেপির পথ অবরোধ তুলতে দফায় দফায় লাঠি চালাল পুলিশ। রবিবার সকালে নন্দকুমারের শ্রীকৃষ্ণপুর হাইস্কুলের সামনে তমলুক মেছেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে ঘটনাস্থলে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিএসএফের ডিআইজি এসএস গুলেটিয়া। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য স্পর্শকাতর বুথের তালিকা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চেয়েও পাওয়া যায়নি।
শনিবার মুর্শিদাবাদের নওদায় তৃণমূলের ভোট সন্ত্রাসে নিহত কংগ্রেস কর্মী লিয়াকত আলির পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। অধীরবাবুকে দেখে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। লিয়াকত সাহেবের খুনের বিচার দাবি করেছেন তাঁরা। নিহতের পরিবারকে আশ্বস্ত করে অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, সেজন্য যতদূর যেতে হয় যাব।
বেলডাঙ্গা থানার সামনে বিক্ষোভ কংগ্রেসের। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। লাগামহীন সন্ত্রাস ও পুলিশের নিষ্ক্রিয় তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে কংগ্রেসকর্মীরা। ৪৫টি বুথে পুনরায় ভোটের দাবিতে এই বিক্ষোভ।
মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি বিধানসভার ইনাতপুর ২১২ নম্বর বুথের সিপিআইএম কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন মগরাহাট থানার ৩ পুলিশ কর্মী। জখম পুলিশকর্মীদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। আহত তিন পুলিশ কর্মী হলেন - এসআই আরিফ মহম্মদ ও দুই কনস্টেবল - লালটু ও প্রসেনজিৎ। তাঁদের মধ্যে একজন কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্ট্রংরুমে রাতের অন্ধকারে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে তমলুক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অভিযোগ, নন্দকুমার ব্লকের পঞ্চায়েত নির্বাচনের শ্রীকৃষ্ণ পুর হাই স্কুলে স্ট্রংরুমে রাতের অন্ধকারে ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার ডিএমসি মোড় অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় জাতীয় কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। ডিএমসি মোড়ে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে অবরোধ থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পরে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার প্রতিবাদে আজ রাস্তায় নামে কংগ্রেস কর্মীরা। ঘটনায় দু'টি গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিহারের কিষাণগঞ্জ শহর লাগোয়া রামপুর চাঁদনীচকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ ঘিরে। এই এলাকাটি বাংলার মধ্যেই পড়ে। ফের ভোট নেওয়ার দাবি জানানো হয় বিক্ষোভকারীদের তরফে।
রানিনগর থানা এলাকার চাকরাণপাড়া মসজিদপাড়া এলাকায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী ও তাঁদের পরিবার। অভিযোগ, লাঠি-বাঁশ নিয়ে আজ সকাল ছ'টা নাগাদ তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয় কংগ্রেসের লোকজন। বাড়ি লক্ষ করে শুরু হয় বোমাবাজি। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন চারজন - বেগমা বিবি, শাহানারা বিবি, সাবিনা খাতুন ও মেরাজ শেখ।
ভোটের পরের দিনও জারি ঝামেলা। নির্দল সমর্থক এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে বোমাবাজি হল মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জ থানার হিরানন্দপুর ভাঙা লাইন এলাকায়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের চোখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কালা, বোবা, কানা হয়ে গেলে সে দেখতে পায় না। যেদিন থেকে ভোট ঘোষণা হয়েছে, সেদিন থেকে হিংসা শুরু হয়েছে। সেই হিংসার বলি হয়েছেন এতজন। পুলিশ কোথাও ছিল না। তৃণমূল বলছে, আমাদের লোক মারা গিয়েছে। যারই লোক মারা যাক, এখানকার মানুষ তো তারা। কেন মারা যাবে? ভোটার মারা গিয়েছে। তারা কার মানুষ। এই লাগামহীন হিংসায় সার্বিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে। ভোট সম্বন্ধে মানুষের মনে ভয় বেড়ে গিয়েছে।’
পঞ্চায়ে ভোট নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় ছিল? রাস্তায় গাড়ি করে ঘুরছিল তারা। তাদের তো থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। আদালত জোর করে পাঠিয়েছিল বাহিনী। কিন্তু প্রশাসন তো তাদের ব্যবহারই করেনি। প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করলে এত মানুষের মৃত্যু হত না। ভোট করতে দেওয়া হয়নি রাজ্যে। আমরা তাই পুনর্নির্বাচনের দাবি করব।’
ব্যালট বাক্স লুঠ ঠেকাতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনা। আর তার জেরেই মৃত্যু নির্দল প্রার্থীর দুই সমর্থকের। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাইকর থানার কাশিমনগর গ্রামের কাছে। মৃতদের নাম সবুর সেখ ও রহমত সেখ। জানা গিয়েছে, মুরারই বিধানসভার মিত্রপুর গ্রামে ভোট শেষে ব্যালট বাক্স নিয়ে ভোট কর্মীরা আরসি সেন্টারের উদ্দ্যেশ্যে যাচ্ছিল। সেই গাড়ির সঙ্গেই বাইকে করে যাচ্ছিল সবুর ও রহমত। সেই সময় একটি গাড়ি তাঁদের দুজনকে চাপা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু'জনের। খবর পেয়ে পাইকর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা মৃতদেহ দু'টি উদ্ধার করে। তবে ঘাতক গাড়িটির হদিশ পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাইকর থানার পুলিশ।
তৃণমুল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ বৈষ্ণবনগরের ভগবানপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে ওই তৃণমুল কর্মীর নাম মতিউর রহমান। তাঁর বাড়ি ভগবানপুর কেবিএস এলাকায়। অভিযোগ, ভোট দিতে এলে নাকি তাঁকে কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেটে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই যুবক। ঘটনার জেরে জখম আরও ৬ জন।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও ভূমিকাই ছিল না। তারা এসে বরং পুলিশের ভূমিকাকে নগন্য করে দিয়েছে।’
সৌগত রায় বলেন, ‘নিজেদেরই কর্মীদেরই আমরা বাঁচাতে পারিনি। তবে আমাদের কর্মীরা খুবই সংযত ছিল। আমরা হিংসা এড়াবার যথেষ্ঠ চেষ্টা করেছি। কিন্তু এত প্রাণ চলে যাওয়ার পরও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা যে ধৈর্য্য দেখিয়েছেন তা প্রশংসনীয়।’
ভোট দিতে গিয়ে নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে জখম হয়েছেন এক যুবক। অভিযোগটি উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া বিধানসভার অন্তর্গত গোয়ালপোখর থানা এলাকায়। দখম যুবকের নাম মহম্মদ হাসিবুল।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে বিএসএফ। এই আবহে বাহিনীর পক্ষ থেকে জমা পড়া রিপোর্টের ভিত্তিতে সাড়ে ৫ হাজার বুথে নতুন করে ভোট নেওয়ার সুপারিশ করতে চলেছে বিএসএফ। তবে আদৌ কোথাও ফের ভোট হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে স্ক্রুটিনি প্রক্রিয়া। এরপরই পুনর্নির্বাচন নিয়ে কিছু জানাতে পারে কমিশন।
মৃত্যুমিছিল জারি ভোট শেষেও। নির্বাচনী হিংসায় জখম এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হল আজ সকালে। নিহতের নাম মৃতের নাম আজাহার লস্কর। জানা গিয়েছে, গতকাল ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষের পর রাজনৈতিক হিংসায় জখম হয়েছিলেন আজহার। পরে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সেখানেই আজ সকলে মৃত্যু হয় তাঁর।
বীরভূমে সিপিএম প্রার্থীর স্বামীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এই আবহে রামপুরহাটে গতরাতে জাতীয় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান ওই প্রার্থীর পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা।
পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে ভোট সম্পন্ন হওয়ার পর ব্যালট ‘চুরি’ করার অভিযোগ বাম ও বিজেপির বিরুদ্ধে।
ভোট শেষে বাড়ি ফেরার সময় বিজেপি প্রার্থীর শরীরে বিষাক্ত তরল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পূর্বস্থলীতে। জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের নিমদহ বেলের হল্ট ৯৬ নম্বর বুথে ঘটনাটি ঘটে।
গতকাল গভীর রাতে কুলতলির পশ্চিম গাবতলা এলাকায় ৯০ নম্বর বুথের কাছ থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃত ব্যক্তির নাম আবু সালেম খাঁ। বাড়ি বাড়ি পূর্ব গাবতলা এলাকায়। দাবি করা হচ্ছে, তিনি তৃণমূল কর্মী।
এত ছাপ্পা, ভোটলুঠ! পুননির্বাচন কি হবে? আজ স্ক্রুটিনির পরই এর জবাব মিলবে। তবে জানা গিয়েছে, সাড়ে ৫ হাজার বুথে পুর্নির্বাচনের সুপারিশ করতে চলেছে বিএসএফ।
দিনভর অশান্তি জেলায় জেলায়। বহু অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনে। এই আবহে আজ সকাল ১১ টা থেকে স্ক্রুটিনি শুরু হবে।
এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেছিলেন, বুথ ছেড়ে যাওয়া ভোটকর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর হবে। তবে রাতে সুর বদল কমিশনের। জানানো হল, ক্ষতিগ্রস্ত ভোটকর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মোট ১৯টি আসনে ১৩-১৮টি আসন পেতে পরে তৃণমূল। দুটি বা ছ'টি আসনে জিততে পারে বিজেপি। কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের ঝুলিতে একটি আসন যেতে পারে।
এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের ৫২টি আসনের মধ্যে ৩০-৪০টি আসন পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি ১২-১৮টি আসন পেতে পারে। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে সর্বাধিক চারটি আসন যেতে পারে।
এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মোট ৬৬টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস ৪৪-৫৪টি আসনে জিততে পারে। পাঁচটি থেকে ১১টি আসনে জিততে পারে বিজেপি। বাম এবং কংগ্রেস জিততে পারে ছ'টি থেকে ১০টি আসন।
এবিপি আনন্দ এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মোট ৮৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে ৫৯-৬৯টি আসন যেতে পারে। বিজেপি পেতে পারে ১৪-২০টি আসন। কংগ্রেস, বাম এবং আইএসএফের ঝুলিতে একটি থেকে পাঁচটি আসন পেতে পারে।
এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, পুরুলিয়া জেলা পরিষদে মোট ৪৫টি আসনের মধ্যে ২-৩২টি আসন পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পেতে পারে ১০-১৬টি আসন। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে সর্বাধিক চারটি আসন যেতে পারে।
এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের মোট ৬০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ৩১-৪১টি আসন। বিজেপি ১৯-২৫টি আসনে জিততে পারে। কংগ্রেস ও বামেদের ঝুলিতে চারটি আসনে জিততে পারে।
এবিপি আনন্দ এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরের মোট ৭০টি আসনের মধ্যে ৩৫-৪৫টি আসন পেতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পেতে পারে ২৬-৩২টি আসন। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে সর্বাধিক দুটি আসন।
এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের মোট ৭৮ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ৩৯-৪৯টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে সর্বাধিক চারটি আসন যেতে পারে। বাম ও কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে ২৬-৩৬ আসন যেতে পারে।
বীরভূমের জেলা পরিষদের মোট ৫২টি আসনের মধ্যে ৩৪-৪৪টি আসন তৃণমূল জিততে পারে বলে জানাচ্ছে এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা। এই জেলায় বিজেপি পেতে পারে ছ'টি থেকে ১২টি আসন। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে সর্বাধিক পাঁচটি আসন।
এবিপি আনন্দ এবং সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, জলপাইগুড়ির জেলা পরিষদের মোট ২৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ১৬-২০টি আসন। বিজেপি চারটি থেকে আটটি আসনে জিততে পারে। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে সর্বাধিক একটি আসন যেতে পারে।
সমীক্ষা অনুযায়ী, হুগলি জেলা পরিষদের মোট ৫৩টি আসনের মধ্যে এবার ৩৬-৪৬টি আসন জিততে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। সাতটি থেকে ১৩টি আসনে জিততে পারে বিজেপি। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে সর্বাধিক চারটি আসনে।
পশ্চিম বর্ধমানে জেলা পরিষদের মোট ১৮টি আসনের মধ্যে ১১-১৫টি আসনে তৃণমূল জিততে পারে বলে জানাচ্ছে এবিপি আনন্দ এবং সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা। এই জেলায় বিজেপির ঝুলিতে দুটি থেকে ছ'টি আসন যেতে পারে। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে একটি আসন যেতে পারে।
এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমানের জেলা পরিষদের মোট ৬৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ঠেকতে পারে ৪৩-৫৩টি আসনে। বিজেপি ১১-১৭টি আসনে জিততে পারে। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে একটি থেকে পাঁচটি আসন যেতে পারে।
এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, নদিয়ায় জেলা পরিষদের মোট ৫২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ৩০-৪০টি আসন। ১২-১৮টি আসনে জিততে পারে বিজেপি। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে সর্বাধিক চারটি আসন।
এবিপি আনন্দ এবং সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, হাওড়ার জেলা পরিষদের মোট ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২৭-৩৫টি আসনে জিততে পারে। বিজেপি সাতটি থেকে ১১টি আসনে জিততে পারে। কংগ্রেস ও বামেরা জিততে পারে একটি থেকে তিনটি আসনে।
এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, উত্তর দিনাজপুরের জেলা পরিষদের মোট ২৬টি আসনের মধ্যে ১৯-২৫টি আসনে জিততে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি সর্বাধিক চারটি আসনে জিততে পরে। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে সর্বাধিক তিনটি আসন যেতে পারে।
এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা পরিষদের মোট ২১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ১১-১৫টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে ছ'টি থেকে ১০ টি আসন। বাম এবং কংগ্রেসের ঝুলিতে সর্বাধিক একটি আসন যাবে।
এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, আলিপুরদুয়ারের জেলা পরিষদে মোট ১৮টির মধ্যে বিজেপি পেতে পারে ১০-১৪টি আসনে। বাম ও কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে শূন্য থেকে একটি আসন। তৃণমূল পেতে পারে ৪টি আসন।
এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, কোচবিহার জেলা পরিষদের মোট ৩৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ১১-১৭টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ১৮-২২টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে সর্বাধিক একটি আসন।
বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, গ্রাম বাংলায় তৃণমূলের দাপট বজায় থাকছে। এবিপি এবং সি ভোটারের সমীক্ষা বলছে, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলা পরিষদ দখল করতে পারে বিজেপি। দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলকে কড়া টক্কর দিতে পারে গেরুয়া শিবির। ওদিকে মালদা, মুর্শিদাবাদে বাম-কংগ্রেস টক্কর দিতে পারে তৃণমূলকে। বাকি সব জেলাতেই তৃণমূলের জয়জয়কার হতে পারে।
বাম কর্মীর রাজিবুল হকের মৃত্যু হয় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। ঘটনায় অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ঘাসফুল শিবির।
আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি বোমার আঘাতে প্রাণ হারান দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। এর আগেও এই বাসন্তীর মাটি রক্তে লাল হয়েছিল। সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল নিজে। ভোটের দিনও রক্তাক্ত হল সেই বাসন্তী।
ভোট দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমল কর্মী হামজার আলি হাসান। ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার চাপড়ায়।
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে তৃণমূলের বিদায়ী প্রধানের স্বামী মহম্মদ শাহেনশার মৃত্যু হয় দুষ্কৃতীদের হামলায়। অপরদিকে গোয়ালপোখরে কুপিয়ে খুন করা হয় কংগ্রেস কর্মী মহম্মদ জামিলুদ্দিনকে। হেমতাবাদেও তৃণমূল কর্মী নারায়ণ সরকারের নিথর দেহ মেলে।
মালদার মানিকচকে তৃণমূল কর্মী শেখা মালেককে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
দিনহাটার কালীরপাট গ্রামে ভোট দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় চিরঞ্জিত কার্জি নামে এক যুবকের। কোচবিহার ১ ব্লকের ফলিমারিতে ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয়েছিল মাধব বিশ্বাস নামে বিজেপির এক পোলিং এজেন্ট।
মুর্শিদাবাদের কাপাসডাঙায় এক তৃণমূল কর্মী বাবর আলিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় ভোটের আগের রাতে। খড়গ্রাম ও রেজিনগরে দুই তৃণমূল কর্মী খুন হন বলে খবর মিলেছে। নওদাতে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মুর্শিদাবাদে ভোট দিতে এসে খুন হন সিপিএম কর্মী রওশন আলি।
দেদার ছাপ্পা পড়লেও শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলায় পঞ্চায়েতে ভোট পড়েছে ৬৬.২৮ শতাংশ। বিরোধীদের প্রতিরোধ সত্ত্বেও বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নির্বাচনে পাল্লা ভারী শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসেরই।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports