আজ, শনিবার সকাল থেকে গ্রামবাংলা জুড়ে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুরুতেই অশান্তির খবর আসছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরুতেই বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বোমাবাজি, গুলি থেকে শুরু করে খুন করার অভিযোগ পর্যন্ত সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের অভিযোগ ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। শুভেন্দু আবার কালীঘাট যাওয়ার ডাক দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ যুক্তি দিয়ে তুলোধনা করলেন সুকান্ত–শুভেন্দুকে।
এদিকে একের পর এক জেলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনা আজ, শনিবার সকাল থেকে আসতে শুরু করে। সেখানে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটে। বিরোধী কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে বচসা, মারধর এবং বুথে গণ্ডগোলের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস ছাপ্পা দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। আর এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আজকে এখনও পর্যন্ত যা ভোট চলছে তাতে সব মিলিয়ে মাত্র ৪৬টা বুথ থেকে ছোট বড় কিছু খবর এসেছে। তার মধ্যে কিছু মৃত্যু রয়েছে। যা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। আমাদের কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের কর্মীদের টার্গেট করে মারছে বিজেপি।’
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটে লেখা হয়েছে, ‘শিউরে ওঠার মতো একের পর এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে শকওয়েভ কাজ করছে। রেজিনগর, তুফানগঞ্জ, খড়গ্রামে তিনজন দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। ডোমকলে গুলিতে দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আহত হয়েছেন। যখন প্রয়োজন তখন কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? মানুষের নিরাপত্তা দিতে পাহাড়প্রমাণ ব্যর্থতার দিকে তা ইঙ্গিত করছে।’ সুকান্ত মজুমদার দুটি ভিডিয়ো পোস্ট করে টুইট করেছেন। আর শুভেন্দু অধিকারী আজ নন্দীগ্রামে ভোট দিতে গিয়ে কালীঘাট যাওয়ার ডাক দিয়েছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় খবর এবং লাইভ আপডেট জানতে ক্লিক করুন এখানে
আরও পড়ুন: একঘণ্টার মধ্যে ভোট শেষ উত্তর দিনাজপুরে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে টানটান উত্তেজনা
কেন এই ভোট প্রহসন নয়? পঞ্চায়েত নির্বাচন যে প্রহসনে পরিণত হয়নি তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘৪৬টা বুথে গণ্ডগোল হয়েছে। আর মোট বুথ ৬১ হাজারেরও বেশি। তাই ভোট প্রহসন এটা বলার কোনও জাস্টিফিকেশন নেই। মিডিয়ার একাংশ আতঙ্কের খবর বিপণন করছে। উৎসবের মেজাজে যে ভোট হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় সেটা সমানভাবে সম্প্রচার করা হচ্ছে না। কমরেডরা কি অতীত ভুলে গেল? বিজেপি ত্রিপুরার কথা কি ভুলে গেল? শুভেন্দু অধিকারীর কোনও জনভিত্তি নেই। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। পরাজয় নিশ্চিত বুঝে ভুলভাল বকছেন।’