হাতে আর ৬ দিন বাকি। তারপরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারল না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী নিরাপত্তা নিয়ে আজ, রবিবার বৈঠক করল নবান্ন–রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন দফতরে আজ রবিবার আসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্য পুলিশের ডিজি–সহ রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। এই বৈঠকের পর স্পর্শকাতর বুথ কোনগুলি হবে সেটা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এমনকী জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন অফিসার এবং জেলাশাসকদের এই মর্মে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এই বৈঠকে পুলিশকে কোথায় কাজে লাগানো হবে সেটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাটতি মিটবে বলে মনে করছেন না কমিশনের কর্তারা। তবে অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ আনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের একদফা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল। প্রথমে ২২ কোম্পানি এবং দ্বিতীয় ক্ষেপে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে রাজ্যে। তবে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনও উত্তর না পাওয়ায় আশা ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। কারণ চিঠি দিয়েও উত্তর মেলেনি।
এদিকে জেলাশাসকদের একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোন কোন বুথকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেসব বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল সেইসব বুথকে এবার স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। জেলাশাসক এবং জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন অফিসারদের কাছ থেকে তালিকা চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে যেসব বুথে গতবার পুনর্নিবাচন হয়েছিল সেগুলিকে স্পর্শকাতর বুথের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে বলা হয়েছে। এমনকী হিংসা হয়েছিল সেইসব বুথকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপির সবথেকে বড় এজেন্ট অধীর চৌধুরী’, সুজাপুর থেকে আক্রমণ অভিষেকের
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোথায়, কিভাবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রাজ্য পুলিশকে বুথে কিভাবে কাজে লাগানো হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়। ৬১,৬৩৬ ভোটকেন্দ্রের জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে ৩৭ হাজার। আরও আসলেও প্রত্যেক বুথে একজন করেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে না ধরে নিয়েই পরিকল্পনা করা হয়েছে। যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না আসে, তাহলে বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে চিঠি দিয়েছে তাতে বিডিও, পঞ্চায়েত রিটার্নিং অফিসাররা তাঁদের এলাকা কতটা স্পর্শকাতর সেটা বিবেচনা করে স্থানীয় থানাকে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে।