বার বার আদালতে ধাক্কা খাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এমনকী বাহিনী সংক্রান্ত ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে নির্বাচন কমিশনারকে। আর এবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিডিও অফিস চত্বর থেকে প্রতীক সম্বলিত ফর্ম ছিনতাই করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেও ধাক্কা খেল কমিশন।এনিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের আইনজীবীরী। আর এই ঘটনার কথা শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ সিআরপিএফের উপস্থিতিতে কংগ্রেস প্রার্থীদের বি ফর্ম জমা দেওয়ার বিষয়টি কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে।এদিকে মঙ্গলবারের ওই ঘটনার প্রতিবাদে রাতভর বিডিও অফিস চত্বরে অবস্থানে বসেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। এদিকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, পুলিশ সুপারকে নিজে উপস্থিত হয়ে বি ফর্ম জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।এই নির্দেশ শুনে খুশি কংগ্রেস কর্মীরা। অধীর চৌধুরী বলেন,আদালত রায় দিয়েছে পুলিশ পাহারায় কালকের মধ্যে সকলের বি ফর্ম জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কমিশনকে বলতে হবে কেন এই ধরনের অন্যায় হল আমাদের সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে ভোটকে প্রহসনে পরিণত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্য়ে বিরোধীরা আমাদের অধিকারের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এটা আদর্শহীন, স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই। আমরা স্বৈরাচারীর কুৎসিত চেহারা মানুষের কাছে উন্মোচন করতে পারলাম। আদালত মান্যতা দিয়েছে। এটা আমাদের নৈতিক জয়। দিনরাত বিডিও অফিসগুলিতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সার্জারি হচ্ছে। এনিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে আমরা অত্যন্ত খুশি। জানালেন অধীর চৌধুরী।এরপর অধীর চৌধুরী এলাকায় মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেন। আর তখনই পুলিশ এসে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তবে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস কর্মীরা এগিয়ে যান। স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা এদিন আদালতের রায়ে অত্যন্ত খুশি। তাঁদের দাবি অন্যায়ভাবে তৃণমূল তাদের বি ফর্ম ছিনতাই করে নিয়েছিল। এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।তবে এদিন দফায় দফায় আদালতে চাপের মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। বাহিনী নিয়ে শুনানির সময় কমিশনকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানিয়ে দেন, বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এত কিছুর পরে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করুন। কার্যত কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েই বিরাট প্রশ্ন তুলে দিলেন বিচারপতি। সেই সঙ্গেই তিনি স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কমিশনার যদি না পারেন তাহলে রাজ্যপালের কাছে যান। তিনি অন্য কাউকে নিয়ে আসবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ। এখান থেকে এগুলো আশা করা যায় না। এত ঘটনার পরে কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হলে তা দুর্ভাগ্যজনক হবে। জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।সেই সঙ্গে বড়ঞার ঘটনাতে আদালতে ধাক্কা খেল কমিশন।